তৃতীয়বার হরিয়ানার মসনদে বিজেপি। ফল মানতে নারাজ কংগ্রেস। কাশ্মীরে জিতল এনসি-কংগ্রেস জোট। দল হারলেও জয়ী বিনেশ। আরজি করে গণইস্তফা ৫০ সিনিয়র চিকিৎসকের। গণইস্তফার খবর আসেনি, দাবি নবান্নর। বীরভূমে কয়লাখনি বিস্ফোরণে হাই কোর্টে মামলা দায়ের। উদ্ধার আরও ২ শ্রমিকের দেহাংশ, মৃত বেড়ে ৮। পঞ্চমীর সকাল ভাসল বৃষ্টিতে। পদার্থবিদ্যায় নোবেল পাচ্ছেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- কল্যাণী JNM হাসপাতালে ময়নাতদন্ত, জয়নগর মামলায় নির্দেশ হাই কোর্টের
আরও শুনুন: 5 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- দাবিপূরণে অনড়, আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের
বিস্তারিত খবর:
1. উলটে গেল এক্সিট পোলের হিসাব। হরিয়ানায় টানা তিনবার সরকার গড়ল বিজেপিই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৭ আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস এগিয়ে ৩৭ আসনে। রাহুল গান্ধীর দল ২০১৯-এর তুলনায় ভালো ফল করলেও ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ। সব ঠিক থাকলে দ্বিতীয়বার হরিয়ানার মসনদে বসতে চলেছেন নায়াব সিং সাইনিই। তবে রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম ভোটেই জিতলেন বিনেশ ফোগাট। জুলানা কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তিনি। তবে হরিয়ানার মাটিতে হার মানতে পারছে না হাত শিবির। তাঁদের দাবি, জাঠভূমে ভোটে কারচুপি হয়েছে। অভিযোগ সিস্টেমকে ব্যবহার করে তাদের কাছ জয় থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে জয়ের পথে এনসি-কংগ্রেস জোট। ন্যাশনাল কনফারেন্সই কাশ্মীরের একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে। বিজেপি যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সেটাও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ওমর আবদুল্লা। সংশয় কাটিয়ে সেকথা ঘোষণা করেছেন ফারুখ। অন্যদিকে, আরও একবার কাশ্মীরে লালঝান্ডা ওড়ালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউসুফ তারিগামি। কাশ্মীরের কুলগাম কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী হলেন ইউসুফ। পাশাপাশি উপত্যকায় খাতা খুলে ফেলল কেজরির দলও। বিজেপি প্রার্থী গজয় সিং রানাকে হারিয়ে ডোডা কেন্দ্রে জয়ী হলেন আপ প্রার্থী মেহরাজ মালিক।
2. জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণইস্তফা দিলেন আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন ডাক্তার। এর মধ্যে বিভাগীয় প্রধানরাও রয়েছেন। জুনিয়রদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে এসএসকেএম, এনআরএস-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও একই পথে হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটা হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। যদিও সিনিয়র ডাক্তাররা সাফ জানিয়েছেন, ইস্তফাপত্র দিলেও রোগীদের পাশ থেকে তাঁরা সরছেন না। হাসপাতালেই থাকবেন। তবে নবান্ন ও স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের গণইস্তফার কোনও খবর নেই প্রশাসনের কাছে।
মঙ্গলবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে নবান্ন। আরও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকেও ডেকে পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে, সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের পাশে তাঁরাও আছেন। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে অংশ নিতেও রাজি সিনিয়ররা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।