বিশ্বের দীর্ঘতম ডাইনিং টেবিল রয়েছে ভারতেই, একসঙ্গে খেতে পারেন ১০০ জন

বাড়ি থেকে রেস্তরাঁ, ডাইনিং টেবিলের দেখা মেলে সব জায়গাতেই। কোথাও চারজন বসতে পারেন তো কোথাও ছয় থেকে আটজন, এমনটাই চোখে পড়ে সাধারণত। কিন্তু সেইসব চলতি খাবার টেবিলের সঙ্গে তুলনাতেই আসবে না এই রাজকীয় ডাইনিং টেবিল। আকার আকৃতি সবেতেই এটি রীতিমতো রাজকীয়। আর হবে নাই বা কেন! এ টেবিল যে আসলে রাজপরিবারেরই সম্পত্তি। রাজকীয় কায়দায় বিপুলসংখ্যক অতিথিকে যাতে আপ্যায়ন করা যায়, সেই কথা মাথায় রেখেই এই বিশাল টেবিল গড়া হয়েছিল। আর পরবর্তী কালে বিশ্বের দীর্ঘতম ডাইনিং টেবিলের তকমা পেয়েছে এই টেবিলটিই। আর তার দৌলতেই আরও একটি বিশ্বরেকর্ডের মালিকানা পেয়েছে এ দেশ।

আরও শুনুন: লাগবে না এসি, প্রচণ্ড গরমের মোকাবিলা করার উপায় বাতলে দিলেন মহিলা

কোথায় দেখা মেলে এই টেবিলের? তাহলে খুলেই বলা যাক।

হায়দরাবাদের ফলকনামা প্রাসাদে রয়েছে এই ডাইনিং টেবিলটি। ফলকনামা শব্দের অর্থ আকাশের মতো। ১৮৯৩ সালে ইউরোপের রাজপ্রাসাদগুলির আদলে এই আকাশছোঁয়া বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করেন নবাব বিকার-উল-উমরা। আর এই প্রাসাদের অন্দরমহলেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ডাইনিং টেবিল। যার দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট। একসঙ্গে এই টেবিলে বসতে পারেন মোট ১০১ জন অতিথি। কিন্তু আশ্চর্যের কথা হল, এত অতিথি একসঙ্গে বসলেও একে অপরের কথা শুনতে কারও সমস্যা হয় না, এমনভাবেই এই টেবিল তৈরি করা হয়েছে। এই টেবিলের কারুকার্য যেমন তাকলাগানো, তেমনই আশ্চর্য উপায়ে খাবার পরিবেশন করা হত এই ডাইনিং টেবিলে। টেবিলটি যে ঘরে রাখা, সেই খাবার ঘরের দেওয়ালে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন ছবি। আসলে সেইসব ছবিই বিভিন্ন খাবারের, আর এইভাবেই অভিনব বাদশাহি মেনু খোদাই করে রাখা আছে দেওয়াল জুড়ে। কথিত আছে, নবাবরা যখন খেতে বসতেন, তখন দেওয়ালের ওই আঁকাগুলির দিকে আঙুল দেখাতেন। নবাব কোন ছবি দেখাচ্ছেন, তা লক্ষ করেই খাবার পরিবেশন করা হত তাঁকে।

আরও শুনুন: জাতীয় পুরস্কার পেয়েও কাটেনি দুর্দশা! পেটের দায়ে অটো চালাতে হয় কাশ্মীরি শিল্পীকে

সেই নবাবি যুগ অবশ্য শেষ হয়ে গিয়েছে কবেই। তবে তার চিহ্ন রয়ে গিয়েছে এখনও। আর সেইসব স্মৃতিচিহ্নের মধ্যেই অন্যতম বিশ্বের দীর্ঘতম এই ডাইনিং টেবিল।