অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। বদলে গেল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি। ১৩, ১৬, ১৮ ও ২০ এপ্রিলের নির্ধারিত পরীক্ষায় বদল। বিমান-বিভ্রাট নিয়ে বিধানসভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশে ফের মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি। বেসরকারি কলেজে পড়ার খরচ কমাল কেন্দ্র। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পুতিনকে ফোন মোদির।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভাষণ শুরুর আগেই ছড়াল তীব্র উত্তেজনা। যার জন্য রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিক্ষোভকে ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন তিনি। তবে হাজারো উত্তেজনার মাঝেও ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইনটি পড়েন রাজ্যপাল। তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘ জটিলতার মাঝে সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার কথা। তার আগেই পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জগদীপ ধনকড়। জানা গিয়েছে, জগদীপ ধনকড়ের পথ আটকান অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ফের আসনে ফেরেন রাজ্যপাল। বিক্ষোভ থামাতে এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকেন রাজ্যপাল। সমস্যা জানতে চেয়েছেন বলেই খবর। এদিকে বিজেপির লাগাতার স্লোগানের পালটা দিতে থাকে তৃণমূলের একাংশ। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মমতা বলে দেন, “বিজেপি যা করেছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। ওরা রাজ্যপালকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আটকায়। হেরে নাটক করছে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করেছি। আমি, স্পিকার– প্রত্যেকে রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি ভাষণ দেওয়ার জন্য। উনি ভাষণ না দিলে বাজেট সেশন শুরু হত না। যা অসাংবিধানিক বিষয় হত। তাই অনুরোধ করেছিলাম, একটা লাইন অন্তত পড়ুন। তারপর উনি প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর পালটা দিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
এদিকে, এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজভবন যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণ পাঠের জন্য রাজ্যপালকে আলাদা করে ধন্যবাদও জানান তিনি।
2. উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি বদল যে হবে, সে ইঙ্গিত আগেই জানিয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। কারণ, উচ্চমাধ্যমিকের সময়েই জেইই মেন পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সে কারণেই এবার দিন বদল করা হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। সংসদ সভাপতির দাবি, কথা না বলেই জেইই মেন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে সংস্থা, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
১৩ এপ্রিল কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং, ফিলোজফি, সোশিওলজি পরীক্ষা ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী ১৩ এপ্রিলের পরিবর্তে ওই পরীক্ষাগুলি হবে ১৮ তারিখ। ১৬ এপ্রিল কেমিস্ট্রি, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউিকেশন, সংস্কৃত, পারসি, আরবি, ফরাসি ভাষার পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষাটি হবে ১৩ এপ্রিল। ১৮ এপ্রিল স্ট্যাটিসটিক্স, ভূগোল, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন, হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে ২৫ এপ্রিল। ২০ এপ্রিলের পরিবর্তে অর্থনীতি পরীক্ষা হবে ২৬ এপ্রিল। আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক শেষ হবে ওইদিনই।
সকাল দশটা থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক। শেষ হবে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে। এবার নিজের স্কুলেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ছাত্রছাত্রীরা। সে কারণে প্রত্যেক স্কুলেই বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। তাঁর নজরদারিতেই হবে পরীক্ষা। মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সংসদ। সেই মতো প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও শেষ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, সোমবার থেকেই শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে রাজ্য সরকার বাড়তি গণপরিবহণ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রাখার আবেদন পর্ষদ এবং সংসদের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।