১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। বাজেট নিয়েও দিলেন বড় ইঙ্গিত। বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণে স্বমেজাজে প্রধানমন্ত্রী। রাজীব-মনমোহনকে ঢাল করেই তুলোধোনা কংগ্রেসকে। সন্দেশখালি কাণ্ডে SIT গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু অভিষেকের। কাটতে চলেছে SLST চাকরিপ্রার্থীদের আইনি জট।উত্তরাখণ্ডে ইতিহাস, পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- চব্বিশে ৪০০ পার, লোকসভায় এনডিএর আসন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদি
বিস্তারিত খবর:
1. ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আরও একবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে বারবার জানানো সত্ত্বেও বকেয়া পাননি বলেই দাবি করে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা MSME, স্কিল ইন্ডাস্ট্রি, গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে এক নম্বরে। তাই প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘ তবে, পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানিয়েও দিয়েছেন যে, কোনও পরিস্থিতিতেই বাংলা মাথা নত করবে না। রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমি কাউকে বঞ্চিত হতে দেব না। চিরকাল লড়াই করে যাব।” ইতিপূর্বেই ধরনা মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, ২১ লক্ষ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। এই ঘোষণা মেনেই রাজ্য বাজেটে ১০০ দিনের জন্য টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। পাশাপাশি আবাসন প্রকল্পেও টাকার আংশিক সংস্থান থাকছে বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রের খবর, আবাস প্রকল্পে ১১ লক্ষ নথিভুক্ত আবেদনকারীর টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ ৬৬০০ কোটি টাকারও বেশি। এদের একটা অংশের জন্যে অর্থ বরাদ্দ হতে পারে বাজেটে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সূত্রেই রাজ্য বাজেটে দুই ক্ষেত্রেই বরাদ্দ বাড়ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
2. বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণে স্বমহিমায় ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চোখা ভাষণে কার্যত কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন তিনি। হাত শিবিরের শাসনকালের সমালোচনায় তাঁর পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন মোদি। জানান, অর্থনীতিতে দেশ যে ক্রমশ কমজোরি হয়ে পড়ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন মনমোহন সিং। তাঁর ইঙ্গিত ছিল রাজীব গান্ধীর প্রতিও। শিল্প এবং কৃষি নিয়ে কংগ্রেসের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ফলেই দেশ সংকটে চলে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর মত, সেই সংকট থেকে গত দশ বছরে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। শুধু অর্থনীতি নয়, দেশের সুরক্ষা থেকে কাশ্মীর সমস্যার মতো বিষয়গুলি উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই ধরে ধরে কংগ্রেসের ‘ব্যর্থতা’র নমুনা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও। মনে করিয়ে দেন তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের ‘দ্বিচারিতা’র কথা। এদিনও তাঁর মুখে উঠে আসে নেহরু প্রসঙ্গও। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর একটি চিঠির প্রসঙ্গ ধরেই অনগ্রসরদের প্রতি কংগ্রেসের মনোভাবের ব্যাখ্যা করেন মোদি। জাত গণনা তথা সংরক্ষণ নিয়ে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের পালটা দিয়ে ‘পিছিয়ে পড়া’ তথা আদিবাসীদের ভোট টানার কাজটি শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তাঁর চোখা বক্তৃতার পর এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।