দিল্লিতে দেড় দশকের বিজেপি যুগের অবসান। পুরনিগমে ক্ষমতা দখল আম আদমি পার্টির। শীতকালীন অধিবেশনে বিপজ্জনক বিল পাশের আশঙ্কা। দিল্লি থেকে হুঁশিয়ারি মমতার। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির। পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের স্ত্রী, ছেলের নামেও অভিযোগ। বাংলাদেশের কাছে একদিনের সিরিজ হারল ভারত। রোহিতের লড়াই সত্ত্বেও দ্বিতীয় ম্যাচে হাতছাড়া জয়। ৫ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরলেন শাকিবরা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 ডিসেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সাকেতের গ্রেপ্তারি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’, সরব মমতা, তোপ অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. রাজধানী দিল্লিতে রাজনৈতিক পালাবদল। দীর্ঘ ১৫ বছরের বিজেপি-রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করল আম আদমি পার্টি। ঐতিহাসিক জয়ের পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল বললেন, “প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই।”
দিল্লির প্রায় ৯৪ শতাংশ এলাকা পুরনিগমের অধীনে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিধানসভার মতো গুরুত্ব রাখে পুরনিগমের নির্বাচনও। ২০০৫ সাল থেকে দিল্লি পুরনিগমের রাশ ছিল বিজেপির হাতে। সেখানে এবার ২৫০ আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করল আপ। বিজেপির দখলে ১০৪টি আসন। কংগ্রেস ৯টি এবং অন্যান্যরা তিনটি আসন পেয়েছে। দিল্লি পুরসভার প্রথম রূপান্তরকামী কাউন্সিলর হিসেবে জিতে ইতিহাস গড়েছেন আপ প্রার্থী ববি কিন্নর। মহিলাদের জন্য সুলভ শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা, স্কুল থেকে হাসপাতালের উন্নতিসাধনের মতো বিভিন্ন কাজের জন্যই জনতা আপকে ভোটে জিতিয়েছে বলে দাবি করেছেন আপ প্রধান কেজরিওয়াল। প্রথমবার দিল্লিতে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার পর ভোটার ও দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেজরি। পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছেন, “আমি সমস্ত পার্টি আর প্রার্থীদেরই বলব, অনেক রাজনীতি হয়েছে। এবার একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে আমরা আমাদের পাশে চাই।” রাজধানীর উন্নতি করতে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আশীর্বাদ চেয়েছেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল।
2. শীতকালীন অধিবেশনে বিপজ্জনক বিল আসছে, এমনই আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অধিকাংশ বিলে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হবে বলেও মনে করছেন তিনি। দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা।
শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের রণনীতি কী হবে, তা ঠিক করতে বুধবার সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে হাজির ছিলেন দলের প্রায় সব সাংসদই। বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “১৬টি বিল আসছে- বিদ্যুৎ বিল, সমবায় বিল, তথ্য সংরক্ষণ বিল। অনেকগুলি বিপজ্জনক বিল রয়েছে। তাতে এমন অনেকগুলি বিল রয়েছে যাতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজ্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বিরোধীরা প্রতিবাদ করলেও কেন্দ্র গুরুত্ব দেয় না। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে বিলগুলি পাশ করিয়ে নেয়। তাই আমরা ভয় পাচ্ছি যে সংসদীয় গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।” বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করবে, তৃণমূল শিবির তাদের সহযোগিতা করবে বলেও এদিন স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।