ভূপতিনগর কাণ্ডে বিজেপি যোগের দাবি তৃণমূলের। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল। সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর নিয়েও সরব মোদি। দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে হামলা তৃণমূলের, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। রামনবমীতে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়া থেকে ‘শান্তি মিছিল’ করার পরামর্শ। দেবের সমর্থনে ঘাটালে রোড শো অভিষেকের। রোহিত-ডেভিডের দাপটে প্রথম জয় হার্দিকদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘আমি থাকতে CAA-NRC নয়’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটের আগে ভূপতিনগরে NIA অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস তৃণমূলের। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, গত ২৬ মার্চ থেকে ভূপতিনগরের ‘বাংলা বিরোধী’ ষড়যন্ত্র করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কুণাল আরও বলেন, এসপি ধনরাম সিংয়ের নেতৃত্বে NIA-র বাসভবনে ২৬ মার্চ ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয়। তাতেই এনআইএ-কে বলে দেওয়া হয়, তৃণমূলের কোন কোন নেতার বাড়িতে অভিযান চলবে, কাকে কাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে তৃণমূল এ থেকেই স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর এবার পালটা চাপ তৈরির পথে হাঁটছে রাজ্যের শাসকদল। কুণালের আরও দাবি, NIA যে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে, তাদের নেতাদের কথায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করছে, তার প্রমাণ স্বরূপ এসব নথি নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে, একটি ভিডিও রিলিজ করা হবে। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থও হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও, ভূপতিনগর কাণ্ডে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছে এনআইএ। যে অভিযোগ উঠেছে তা দুর্ভাগ্যজনক বলেই বিবৃতিতে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। এনআইএ-র আরও দাবি, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। কাউকে কোনওরকম হেনস্তা কিংবা প্ররোচনা না দেওয়া সত্ত্বেও ভূপতিনগরে গিয়ে হামলার শিকার হন। আইন মেনে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এনআইএ-র কাজে বাধা দেওয়া হয় বলেই দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির।
2. ভোটমুখী বাংলায় প্রচারে এসে ভূপতিনগর নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রবিবার জলপাইগুড়ি থেকে ভূপতিনগরের নাম উল্লেখ না করে মোদি বলেন, “তোলাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাঁচাতে চায় তৃণমূল। সে কারণে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা চালায়। অন্যকে দিয়ে হামলা করায়।” এরপরই আরও একবার সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সুর চড়ান মোদি। তাঁর কথায়, “সন্দেশখালিতে কী হয়েছে গোটা দেশ জানে। মা-বোনেদের অত্যাচার করা হয়েছে। গোটা দেশ তা দেখেছে। এখানে সর্বত্র তৃণমূলের সিন্ডিকেটরাজ।” একইসঙ্গে রেশন এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। বলেন,”বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছি যারা দুর্নীতি করে টাকা ব্যাঙ্কে ভরেছে। দুর্নীতির ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি কীভাবে ওই টাকা গরিবদের ফেরত দেওয়া যায়। আমরা চাই দুর্নীতিবাজদের দূর হঠাও। ওরা তাদের আগলে রাখে।” সবমিলিয়ে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুঙ্কারই দিলেন মোদি। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৪ জুন ভোটের ফলপ্রকাশ, তার পর তদন্ত আরও জোরদার হবে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।