দেবী পাবেন সরকারি ভাতা। তাও আবার প্রতি মাসে নিয়ম করে। এমনটাই ঘোষণা কর্ণাটক সরকারের। ঠিক কোন প্রকল্পের আওতায় আনা হল স্বয়ং দেবীকে? আসুন শুনে নিই।
মন্দিরে পুজো দিলে প্রণামী দেওয়াই প্রচলিত নিয়ম। তবে দক্ষিণের এই দেবী স্রেফ প্রণামী নয়, এবার থেকে সরকারি ভাতাও পাবেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। খোদ কর্ণাটক সরকার এই ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের প্রসিদ্ধ দেবী চামুণ্ডেশ্বরী সম্পর্কে।
আরও শুনুন: এক দেশ এক আইন নয়, এক দেশ এক উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন নেহরু
দেবতার উদ্দেশে অনেককিছুই দান করেন ভক্তরা। সবই জমা পড়ে প্রণামী বাক্সে। দেশের বেশিরভাগ মন্দিরের মূল রোজগারও ওই প্রণামী বাক্স থেকেই হয়। যে কোনও উৎসব বা নিত্যপুজোর খরচও সেখান থেকেই মেলে। কিন্তু এবার থেকে স্রেফ প্রণামী নয়, সরকারি ভাতাও পাবেন কর্ণাটকের দেবী চামুণ্ডেশ্বরী। দক্ষিণের এই মন্দির এমনিতেই প্রসিদ্ধ। অরতিদিন লাখো ভক্তের ভিড় জমে মন্দিরে। স্বাভাবিক ভাবে ভরে ওঠে প্রণামী বাক্সও। তবু এই দেবী মন্দিরে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার।
আরও শুনুন: নায়িকা ভুলে, রামেই মজে মন! রামমন্দিরে ১১ কেজি সোনা-হিরের মুকুট দিতে চান ঠগ সুকেশ
ঠিক কোন প্রকল্পের আওতায় আনা হল দেবীকে?
প্রকল্পের নাম ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’। নির্বাচনের আবহে সে রাজ্যে বেশ কিছু নতুন প্রকল্প শুরু করেছে কর্ণাটক সরকার। যার অন্যতম এই যোজনা। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে এই প্রকল্পও সে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের জন্যই তৈরি হয়েছে। তবে টাকার অঙ্কটা অনেকটা বেশি। গৃহলক্ষ্মী যোজনা-য় কর্ণাটকের মহিলারা প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে পাবেন। প্রকল্পটি শুরু হয়েছে সদ্যই। যার প্রথম প্রাপক স্বয়ং দেবী চামুণ্ডেশ্বরী। আসলে, সরকারি ভাবে এই যোজনার কথা ঘোষণা হওয়ার পরই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা রাজ্য সরকারের কাছে দেবীকে এর আওতায় আনার প্রস্তাব রাখেন। একবার শুনেই তা মঞ্জুর করে দেয় সে রাজ্যের ক্ষমতাধীন কংগ্রেস সরকার। শুধু তাই নয়, কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার মন্দিরে নিয়মিত টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেন সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীকে। সব ব্যবস্থাও হয়ে যায় তখনই। ঠিক হয়, দেবীর কাছে ওই টাকা পাঠিয়েয় সূচনা করা হবে প্রকল্পের। যাতে তাঁর আশীর্বাদে প্রকল্পটি সফল হয়। এরপর থেকেই নিয়ম করে ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’-য় সরকারি ভাতা পাচ্ছেন দেবী চামুণ্ডেশ্বরী।