ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে HMPV সংক্রমণ। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন ৯৫ মৎস্যজীবী। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরিবারের সঙ্গে মিলন। ইডির মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে চার্জ গঠন। ছত্তিশগড়ে বিজাপুরে পথে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। টেস্টে বড়সড় বদলের পরিকল্পনা জয় শাহের ICC-র।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কোভিডের পর HMPV। ফের চিনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁটা সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আতঙ্কের কিছু নয় বলেই গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে বললেন তিনি। ইতিমধ্যেই কলকাতায় HMPV সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। আক্রান্ত বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ, কর্নাটক সহ অন্যান্য রাজ্যের একাধিক শিশুও। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অসুস্থ শিশুদের দেহে এইচএমপিভি মিললেও সেটি চিনা ভ্যারিয়েন্টের নয়। আক্রান্ত শিশুরাও সম্প্রতি বিদেশে যায়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য়ের ৫ সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক খোলার কথা বলা হয়েছে। HMPV-র মতো উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার করাতে হবে। প্রয়োজনে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করতে হবে। বলা হচ্ছে, দু-তিনদিন ধরে জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসক দেখান। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাকালের মতো দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়ানোয় জোর দিতে চাইছেন তাঁরা। অন্যান্য রাজ্যেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ কর্নাটক সরকারের।
2. প্রায় ২ মাস পর বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্ত হয়ে ঘরে ফিরেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৯৫ জন মৎস্যজীবী। রবিবার দুদেশের জলসীমায় এই হস্তান্তরের পর সোমবার গঙ্গাসাগরে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মৎস্যজীবীদের হাতে আর্থিক সাহায্য এবং কিছু উপহার তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ফিরে আসা জেলেদের কথা শুনে আবেগে ভেসেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে জেলবন্দি অবস্থায় মৎস্যজীবীদের উপর অত্যাচার হয়েছে, যার জেরে অনেকে পা-কোমরে চোট পেয়েছেন। হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে তাঁদের। মমতা আরও বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমরা ওদের ভালোবাসি। কিন্তু একটা পরিস্থিতি এমন হল যে চোখে জল এসে যাওয়ার মতো।” আহত মৎস্যজীবীদের ভালোভাবে চিকিৎসা করানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।