ইন্ডিয়া-র পরিবর্তে ভারত। কেন নাম পরিবর্তন, প্রশ্ন মমতার। সরব বিরোধীরাও। ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। উপাচার্যদের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। শিক্ষাক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাজভবনের সামনেই ধরনার হুমকি। হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দিল হাই কোর্ট। এবার নুসরত জাহানকে তলব করল ইডি। কসবার স্কুলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ নিয়ে ফের জটিলতা। বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা ভারতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার মাকে চাকরি, ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব রাজ্যের
আরও শুনুন: 3 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ১০ জনেই ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের
বিস্তারিত খবর:
1. বদলে যেতে পারে দেশের নাম। এবার সব ভাষাতেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হওয়ার পথে। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে নয়া জল্পনা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সরকার আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ যে অধিবেশন ডেকেছে, তাতে দেশের নামবদলের প্রস্তব পেশ করা হতে পারে। জল্পনার শুরু জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির তরফে তৈরি হওয়া আমন্ত্রণপত্র ঘিরে। সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ টুইটে বলেছেন, “সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদে সাফ বলা রয়েছে, ‘ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া, রাজ্যের সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হবে’। কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্রের উপরই আঘাত হানা হচ্ছে।” যার পালটা এসেছে বিজেপির তরফেও। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার দাবি,”আপনারা ভারত জোড়ো যাত্রা করতে পারেন। দেশের নামে রাজনীতি করতে পারেন। তাহলে ‘ভারত’ শব্দে আপত্তি কেন?” বিতর্কের আবহে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, “দেশের নাম ইংরেজিতে আমরা বলি ইন্ডিয়া। হিন্দিতে বলে ভারত কা সংবিধান। ভারত তো আমরাও বলি। এতে নতুন করে কিছু বলার নেই।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কিন্তু ইন্ডিয়া নামে সারা বিশ্ব চেনে। হঠাৎ এমন কী হল? বস্তুত, দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি এক ছাতার তলায় এসে যে মঞ্চ তৈরি করেছে, তার নামও ‘ইন্ডিয়া’। তার ঠিক পরই কেন দেশের নাম বদলের তোড়জোড়? সে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন মমতা সরাসরি সে প্রশ্ন না তুললেও ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
2. উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার সরাসরি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের কথা শুনে বিশ্ববিদ্য়ালয় চালালে ‘আর্থিক অবরোধ’ তৈরি করতে পিছপা হবেন না। সাফ জানিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আক্ষেপ, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে। মঙ্গলবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যেরের প্রশাসনিক প্রধানের অভিযোগ, রাতারাতি উপাচার্য বদলে ফেলা হচ্ছে। যারা শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়, তাঁদের উপাচার্য পদে বসানো হচ্ছে। যাদবপুরের উপাচার্য পদে বিজেপির কোনও সভাপতিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এরপরই নাম উল্লেখ না করে মমতার হুঁশিয়ারি, “কোনও বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক বাধা তৈরি করব।” আসলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতন দেয় রাজ্য সরকার। এবার সেই বেতন বন্ধেরই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক ইস্যুতে রাজভবনের ‘অতি-সক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে আর্থিক বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এই যে মাঝেমধ্যে কেরল থেকে অতিথি এনে রাজভবনে চা খাওয়ান, সেই টাকাও আমরা দিই।” যদি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বেশি হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহলে রাজভবনের সামনেই ধরনা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য প্রায় বেনজির আক্রমণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।