কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার বন্ধ হোক। মোদিকে চিঠি মমতা-সহ ৯ বিরোধী নেতার। বি সি রায় হাসপাতালে ফের প্রাণ গেল ৬ শিশুর। অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রায় ফের জটিলতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হাতে নয়া তুরুপের তাস। কলেজিয়ামের সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদের মধ্যেই বিস্ফোরক আইনমন্ত্রী। মহিলাদের আইপিএলের শুরুতেই ধাক্কা আরসিবি-র। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৬০ রানে হার স্মৃতি মন্ধানার দলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মিলল না রক্ষাকবচ, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধা নেই ইডির
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগানোর প্রতিবাদে একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন বিরোধী শিবিরের ৯ নেতৃত্ব। যাঁদের অন্যতম মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ছাড়া রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহ।
মোদিকে লেখা চিঠিতে দিল্লির সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই ৯ নেতানেত্রী। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র সরকার সিবিআই, ইডিকে ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের ফাঁসাচ্ছে। আর বিজেপিতে যোগ দিলে অভিযুক্তরাও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণ হিসাবে, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের নামও তুলে ধরেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নিয়োগ করা রাজ্যপালরাও বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যগুলিকে কাজে বাধা দিচ্ছেন। নষ্ট করা হচ্ছে গণতন্ত্রের পরিবেশও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই নেতৃত্বদের মধ্যে নেই কংগ্রেসের কোনও নেতা। এদিকে বিজেপি বিরোধিতায় গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস, এই দাবিতে এদিনই তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অকংগ্রেসি, অবিজেপি দলগুলির ক্ষতি চাইছে কংগ্রেস, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়া জোটের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধীরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
2. রাজ্যে আবাস যোজনায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে যতগুলি বাড়ি অনুমোদন বা বাতিল হয়েছে, সবই হয়েছে নিয়ম মেনে। ছোটখাটো ত্রুটি ছাড়া এই প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের এই চিঠিই কার্যত ‘ট্রাম্পকার্ড’ নবান্নের কাছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেছেন, “কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকী এফআইআর করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল যখন কোনও দুর্নীতির হদিশই পেল না, তাহলে কি ধরে নেব মিথ্যে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র?” ‘আবাস যোজনা’য় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে এবার কেন্দ্রের তরফেই জানানো হল, আবাসে কাটমানি বা ঘুষ নেওয়ার কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, নদিয়াতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র স্টিকার নিয়ে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ কেন্দ্রকে পালটা চিঠি দিয়ে আবাসের বকেয়া টাকা চাওয়ার পাশাপাশি মিথ্যে অভিযোগকারী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তার পরামর্শ চাইবে নবান্ন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।