বিয়েতে শখ করে লেহঙ্গা পরেছিলেন পাকিস্তানের এই তরুণী। কিন্তু তার জেরেই নেটিজেনদের তোপ ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। পাকিস্তানি হয়েও কেন তিনি ভারতীয় পোশাক পরেছেন, এই মর্মেই আক্রমণ শানিয়েছেন নেটিজেনরা। উত্তরে কী বললেন এই পাক অভিনেত্রী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পাকিস্তানের বিয়েতে নাচগান হবে কেন? কেনই বা লেহঙ্গা পরবেন কোনও তরুণী? সম্প্রতি পাক অভিনেত্রী উশনা শাহর বিয়েকে কেন্দ্র করে এই ইস্যুতেই তোপ দাগলেন নেটিজেনরা। তাঁদের দাবি, এই সবই আসলে ভারতীয় সংস্কৃতি। পাকিস্তানের বুকে কোনও অনুষ্ঠানে ভারতের সংস্কৃতি টেনে আনা হবে কেন, এই মর্মেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাক নাগরিকদের একাংশ।
আরও শুনুন: ১০০ সন্তানের বাবা হওয়াই লক্ষ্য! ৬০ বছরে ২৬ বার বিয়ে পাকিস্তানের ব্যক্তির
সম্প্রতি গল্ফ খেলোয়াড় হামজা আমিনের সঙ্গে বিয়ে সেরেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী উশনা শাহ। বিয়ে উপলক্ষে অভিনেত্রীর পরনে ছিল পাকিস্তানি ব্র্যান্ড ওয়ার্দা সেলিমের নকশা করা একটি টকটকে লাল লেহঙ্গা। হামজাও সেজেছিলেন ভারতীয় বরের বেশে। তার পরনে ছিল আইভরি রঙের শেরওয়ানি ও লাল সাদা নকশা করা পাগড়ি। নবদম্পতির ছবির পাশাপাশি বিয়েতে অভিনেত্রীর নাচের ভিডিয়োটিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তাতেই তোপ দেগেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, লেহঙ্গা একান্তভাবেই ভারতীয় পোশাক। পাকিস্তানের নিজস্ব পোশাক নয় এটি। তাহলে কোনও পাক তরুণী কেন এই পোশাক পরবেন? এক নেটিজেনের সাফ কথা, “পাকিস্তানের নিজস্ব ধর্ম এবং সংস্কৃতি রয়েছে। সেখানে ভারতের সংস্কৃতি আমদানি করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মুসলিম, আর আমাদের ধর্ম আমাদের এই জাতীয় পোশাক পরার অনুমতি দেয় না।” উশনার মতো কেউ কেউ আসলে পাক সংস্কৃতির মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে নিজেদের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চাইছেন, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের।
আরও শুনুন: ডিজে আর নাচ-গান ইসলামী সংস্কৃতি নয়, বিয়ে না দেওয়ার বার্তা মৌলবিদের
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রকম পোশাকের বৈচিত্র্য রয়েছে। আর বিশ্বায়নের যুগে সেসবই আমাদের হাতের মুঠোয়। ফলে রুচি অনুযায়ীই পোশাক বেছে নেন সকলে। কিন্তু সেই পোশাক নির্বাচনের কারণেই এবার সমালোচনার মুখে পড়তে হল এই পাক অভিনেত্রীকে। যদিও মুখ বুজে এই কটাক্ষ মেনে নেননি তিনি। অভিনেত্রীর পালটা জবাব, “যাঁদের আমার বিয়ের পোশাক নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের না বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, না তাঁরা কেউ আমার পোশাকের জন্য টাকা দিয়েছেন।” পাকিস্তানি শিল্পীর হাতে তৈরি এই পোশাকটিকে সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি বলেই দাবি করেছেন তিনি। নেটিজেনদের সমালোচনাকে যে তিনি কোনওভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সে কথা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন এই পাক অভিনেত্রী।
কীভাবে তৈরি হল এই আশ্চর্য? শুনে নিন।
না ঘুমিয়ে ক্লান্তিহীন থাকা আদৌ সম্ভব? শুনে নিন।
কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? শুনে নিন।
পুজোর নস্ট্যালজিয়া ভাগ করে নিলেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনে নিন।
মন্দির-মসজিদ শুধুমাত্র জনগণের জন্য, সাফ জানিয়েছে আদালত।
দেশজোড়া অসহিষ্ণুতাকেই ফের চেনাল এ ঘটনা।
অমরত্বের হদিশ পেয়েছিলেন কোন পৌরাণিক চরিত্ররা? শুনে নিন।
