১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ ও অর্পিতা। নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের। আগামী ১৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে দুজনকে। দিল্লিতে মুখোমুখি বৈঠকে মোদি-মমতা। রাজ্যের বকেয়া প্রায় ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা। মোদিকে রাজ্যের প্রাপ্য হিসেব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী দিল্লি। রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার পথে আটক রাহুল গান্ধী। রাস্তায় বসে প্রতিবাদ প্রিয়াঙ্কার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদল, পাঁচ পূর্ণমন্ত্রী-সহ দায়িত্ব পেলেন ৯ জন
বিস্তারিত খবর:
1. আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলই ঠিকানা প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি হেফাজতের পর এবার পার্থ ও অর্পিতা দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। অর্পিতাকে রাখা হবে আলিপুর সংশোধনাগারে। আগামী ১৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
ইডি সূত্রে খবর, মুখোমুখি জেরায় অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার মালিকানাও অস্বীকার করেন পার্থ। এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পরে আদালতে তোলা হয় দুজনকেই। সেখানে পার্থর বিরুদ্ধে ওঠা প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করতে জোর সওয়াল চালান তাঁর আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস। তাঁর বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর মন্ত্রী নন। কোনও দলীয় পদেও নেই। তিনি এখন শুধুই একজন বিধায়ক। আর সেই পদ থেকেও ইস্তফা দিতে রাজি তিনি। তাঁর কোনও সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হয়নি। পার্থকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। উলটোদিকে অর্পিতাকে ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি’ হিসাবে জেলে রাখার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী সোহম বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্পিতার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সরকারি আইনজীবীও। অর্পিতার নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এমনকি জেলেও তাঁকে খাবার ও জল পরীক্ষা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজত প্রসঙ্গে বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্যতম পার্থদা। যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের অবস্থাও পার্থদার মতোই হবে।” শুধু তাই নয়, জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা পেলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ করবেন বলেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
2. মুখোমুখি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা, পাওনা অর্থ আদায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অতিসক্রিয়তা’-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে হল দীর্ঘক্ষণ আলোচনা। সেইসঙ্গে রাজ্যের বকেয়া বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকার হিসেব লিখিত আকারে মোদিকে দিলেন মমতা।
এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে ৭, লোককল্যাণ মার্গ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁদের কথা হয়েছে বলে খবর। আলোচনা সেরে বেরিয়ে সোজা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মমতা। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে ফের এক মঞ্চে দেখা যাবে মোদি-মমতাকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।