হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন তিন কোম্পানি CRPF। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হল না অভিষেকের। লক্ষ লক্ষ বঞ্চিতদের নিয়ে ঘেরাও করা হবে দিল্লি। রাজধানীতে দাঁড়িয়েই হুঁশিয়ারি নেতার। হনুমান জয়ন্তীতেও অশান্তির আশঙ্কা। রাজ্যগুলিকে আগেভাগেই সতর্ক করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ছাড়াল ৪ হাজারের গণ্ডি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- হাওড়ার অশান্তিতে ‘বহিরাগত’ যোগ, বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
আরও শুনুন: 3 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- হনুমান জয়ন্তীর আগে হুঁশিয়ারি, হিংসা নিয়ে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
১। হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। কলকাতা, বারাকপুর ও চন্দননগরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে ৩ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। এর আগে
রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসায় কড়া অবস্থান নিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের সাফ নির্দেশ ছিল, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা সামলাতে কেন্দ্রের কাছে আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য চাইবে রাজ্য। কেন্দ্রকেও অবিলম্বে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেন। নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত জেলা ডিএম, এসপি-দের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। মিছিলে অশান্তি যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিন কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোতায়েন থাকবে রাজ্য পুলিশও। কিন্তু যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে আধা সেনাও থাকবে। হনুমান জয়ন্তীর মিছিল নিয়েও একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। যাঁরা মিছিলে অংশ নেবেন, তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকে প্রশাসনকে দিতে হবে। সেই তালিকা খতিয়ে দেখে সবার জন্য পুলিশের তরফে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এই কার্ড ছাড়া কাউকে মিছিলে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। রাম-নবমীতে হিংসার ঘটনার পরই হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে কঠোর পদক্ষেপই করল রাজ্য।
২। প্রতিশ্রুতি দিয়েও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন না কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিন সাতেক আগেই গিরিরাজ সিংয়ের কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এ রাজ্যের শাসকদলের দাবি, দেখা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন গিরিরাজ। কিন্তু এদিন তিনি সাক্ষাৎ করেননি। এমনকী মন্ত্রকে ছিলেন না প্রতিমন্ত্রীও। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতেই কৃষি ভবন অভিযান করেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রাথমিকভাবে কৃষিভবনের মূল ফটক বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে জানানো হয়, যেহেতু মন্ত্রীর সময় পাওয়া যায়নি তাই সাংসদদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি নেই। পালটা তৃণমূলের দাবি, দাবিদাওয়া জানিয়ে চিঠি দিতে ভিতরে যেতে চান তাঁরা। মন্ত্রী না থাকলে প্রতিমন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। সাংসদদের এভাবে আটকানো যায় না। এরপর কৃষিভবনের ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। মন্ত্রীরা না থাকায় সচিবকেই স্মারকলিপি দেন। এরপরই ক্ষুব্ধ অভিষেক জানান, “এভাবে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা যায় না। আর ২-৩ মাসের মধ্যে টাকা না দিলে লক্ষ লক্ষ বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লি ঘেরাও করব।” ভবিষ্যতে যে এই নিয়ে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলবেন, এদিন তার স্পষ্ট ইঙ্গিতই দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।