৪ বছর পরে রেপো রেট বাড়াল আরবিআই। অনশন প্রত্যাহার এস এস সি চাকুরীপ্রার্থীদের। ময়নাগুড়ি ধর্ষণ কাণ্ডে নয় সিবিআই তদন্ত, জানাল হাই কোর্ট। কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের রোষে পি চিদম্বরম। চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা আপাতত নেই, জানাল ICMR। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকির জের। অভিযুক্ত সাংবাদিককে ২ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠাল BCCI।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. চার বছর বাদে রেপো রেট অর্থাৎ ব্যাংকগুলিকে দেওয়া সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক। একধাক্কায় রেপো রেট বাড়িয়ে দেওয়া হল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। যার ফলে রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন রেপো রেট দাঁড়াচ্ছে ৪.৪০ শতাংশ। শুধু রেপো রেট নয়, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও।
মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি নির্ধারণের বৈঠকে রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরবিআই গভর্নর এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন যে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতেই তাই এল রেপো রেট বাড়ানোর দাওয়াই। এ ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, মানিটারি পলিসি কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমেই রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীর যে ১২টি বিভাগ আছে তার মধ্যে ৯টির দামই মার্চ মাসে ছিল ঊর্ধ্বমুখী। খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে RBI।
একই দিনে রিজার্ভ ব্যাংকের এই জোড়া সূচক বৃদ্ধির অর্থ হল ব্যাংকগুলি ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আগের তুলনায় বেশি সংযত হবে। যার ফলে কিছুটা হলেও বাজারে নগদের জোগান নিয়ন্ত্রিত হবে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই বড়সড় ধস নামে শেয়ার বাজারে। এক ধাক্কায় প্রায় ১৩০০ পয়েন্ট নেমে যায় শেয়ার বাজারের সূচক। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে মুল্যবৃদ্ধি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই আশাবাদী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
2. মঙ্গলবার ইদের দিনই ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন। অনশনকারী চাকউরীপ্রার্থীদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর উপরই আস্থা রাখলেন চাকুরীপ্রার্থীরা। বুধবার অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তবে এখনই ধরনা তুলে নেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে চাকরীপ্রার্থীদের সঙ্গে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে। সেখানেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী দুই পক্ষই। তবে চাকরীপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে তাঁরা আগামী দিনে ফের অনশন শুরু করবেন। অর্থাৎ দাবিপূরণ না হলে আন্দোলন যে চলবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চাকরীপ্রার্থীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।