রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ম্যান-মেড। ‘ঝাড়খণ্ডের জল ঢুকেই ডুবছে বাংলা’, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। হেমন্তের সঙ্গে ফোন কথা মমতার।তাজপুরে মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি কাণ্ডে কড়া তৃণমূল। দলের নির্দেশে পদত্যাগ ঘোষণা অখিল গিরির। ফের রক্তাক্ত বাংলাদেশ। বিক্ষোভের বলি ৭০, ভারতীয়দের সতর্ক করল দিল্লি। বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ মানল কেন্দ্র। ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতায় রাশ টানতে বিল আনছে কেন্দ্র। অলিম্পিকের সেমিফাইনালে ভারতীয় হকি দল। ব্যাডমিন্টনে স্বপ্নভঙ্গ, সেমিতে হার লক্ষ্যর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ৩০০ পেরোল ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা, আটকে বাংলার ২৪২ শ্রমিক
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলার বন্যা পরিস্থিতি ম্যান-মেড। ঝাড়খণ্ড থেকে আচমকা প্রচুর জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। রবিবার এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সোশাল মিডিয়ায় মমতা জানান, ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে আচমকা প্রচুর জল ছাড়ায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টির দিকে নজর রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। গোটা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কথা বলেছেন। আগামী ৩-৪ দিন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। এদিকে, রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও জল ছাড়ার হার কমালো না ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়তে হবে। বৃষ্টি বাড়লে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে বড়সর বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. তাজপুরে মহিলা রেঞ্জারকে হুমকির ঘটনায় কড়া অবস্থান তৃণমূলের। আগেই কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করেছিল দল। এবার তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূলের। রবিবার মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এমনই নির্দেশ দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। দলের নির্দেশ মেনে পদত্যাগের ঘোষণাও করেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর কথায়, “আমার কাজে হয়তো দলের ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারণেই পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি মেনে নিলাম। মন্ত্রিত্ব ছাড়া আমার কাছে বড় ব্যাপার নয়।” পাশাপাশি মহিলা আধিকারিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতেও বলা হয় অখিল গিরিকে। এক্ষেত্রে তিনি রাজি হননি। মহিলা আধিকারিককে হুমকি দেওয়ায় তিনি অনুতপ্ত, কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে বলে সাফ জানিয়েছেন অখিল গিরি। এ বিষয়ে মন্ত্রীর সাফাই, ওই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল বলেই মনে হয়েছিল তাঁর। নাহলে অন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যেত ওখানে, দাবি অখিল গিরির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।