দলের সমালোচনা করে বিপাকে দিলীপ ঘোষ। ‘বারবার সতর্ক করেও লাভ হয়নি’। এবার তাই এল মুখ না-খোলার নির্দেশ। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে চিঠি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ ইডি-সিবিআই দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানোর। বিজেপি নেতাদেরও জেলে পোরার দাবি মমতার। ৮ বছর ধরে বন্ধ জল-প্রকল্পের কাজ। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আধিকারিকদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ‘বাংলা ডেয়ারি’র প্রসারেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জুনের প্রথম সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, দিনক্ষণ ঘোষণা পর্ষদের
বিস্তারিত খবর:
1. দলের সমালোচনা করে বিপাকে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে একপ্রকার নিষেধ করে দেওয়া হল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। দলের রাজ্য সভাপতির পদ খোয়ানোর পর থেকে দিলীপ যে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেই আক্রমণ করছেন, তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁর নিশানায় থেকেছে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। যার জেরে এবার সোজা দিলীপকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে পাঠানো চিঠিতে দিলীপ ঘোষকে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, “আপনার আলটপকা মন্তব্যে ক্ষতি হচ্ছে দলের। এর আগে বারবার আপনাকে সংযত হতে বলা সত্ত্বেও কাজ হয়নি। তাই আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে, পরিস্থিতি বুঝুন। আপাতত সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা থেকে বিরত থাকুন।” এদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
2. পুরুলিয়ার কর্মিসভা থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তিনি। পাশাপাশি ইডি-সিবিআই দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন মমতা। কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলায় বিরোধী দলের নেতাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন পুরুলিয়ার কর্মিসভায় তিনি বলেন, “কখনও লালু প্রসাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠানো হচ্ছে, কখনও হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যাচ্ছে সিবিআই। কিন্তু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলছে না। বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। সবকটাকে জেলে পুরুক সিবিআই।” এদিন ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা। জানালেন কেন্দ্রের তরফে বারবার আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্য। তাঁর অভিযোগ, ভোট এলেই মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, ভোটের পর কাউকে খুঁজেও পাওয়া যায় না। তবে তাঁর সাফ কথা, ২০২৪-এ বাংলায় বিজেপির ‘নো এন্ট্রি’। পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, তাঁরা যেন কোনও অন্যায় কাজ না করেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে বলেই নির্দেশ তৃণমূল সুপ্রিমোর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।