কমেছে করোনার প্রকোপ। রাজ্যে প্রত্যাহার করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। থাকবে না নৈশ কারফিউ। বহাল থাকছে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায়ের নিয়ম। জ্বালানি সংকটে পড়তে পারে ভারত। দেশে মজুত মাত্র ৭৪ দিনের জ্বালানি তেলে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে উদ্বেগ। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ। আফস্পার নিয়ন্ত্রণ কমানোর ঘোষণা কেন্দ্রের। উত্তর-পূর্বে কমল আফস্পার আওতায় থাকা এলাকার আয়তন। সুবিধা পাবে নাগাল্যান্ড, অসম এবং মণিপুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ৩ শতাংশ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা
বিস্তারিত খবর:
1. করোনার চোখরাঙানি এখন আর নেই। সংক্রমণ অতি সামান্য। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকেই বলবৎ হচ্ছে এই নিয়ম। এর ফলে নাইট কারফিউ আর থাকছে না। এর আগেই দোলের সময় নাইট কারফিউ আংশিক শিথিল করা হয়েছিল। এছাড়া বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে এবার থেকে অফিস-কাছারি, শপিং মল ইত্যাদি জায়গার জন্য যে আংশিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল, তাও আর থাকল না। প্রায় ২ বছর পর আলগা নিয়মের ফাঁস। তবে একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির উপর জোর দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। এ ছাড়া নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। সপ্তাহখানেক আগেই কেন্দ্র সরকার সব রাজ্যকে করোনা বিধি তুলে দিতে অনুরোধ করেছিল। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, সম্ভব হলে ৩১ মার্চ থেকে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। সেই মতো বাংলা-সহ প্রায় সব রাজ্যেই উঠে গেল করোনা বিধিনিষেধ।
2. যুদ্ধের আবহে এবার জ্বালানি সংকটের মুখে পড়তে পারে দেশ। এই মুহূর্তে ভারতে মজুত মাত্র ৭৪ দিনের জ্বালানি তেল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিল খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। এই মুহূর্তে দেশে ৫.৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল মজুত আছে। যা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব ৯ দিন বা তার একটু বেশি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলির কাছে যা তেল মজুত আছে তাতে আরও কাজ চলতে পারে ৬৪ দিনের সামান্য বেশি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে অশোধিত তেল এবং পেট্রল-ডিজেল মিলিয়ে দেশের মোট ৭৪ দিনের তেল রয়েছে। ভারতে সাধারণত ১০০ দিনের পেট্রপণ্যের স্টক থাকেই। কী করে এত কমে গেল? তার অবশ্য জবাব নেই কেন্দ্রের কাছে। এই সংকটের মধ্যেই লাগাতার দেশে বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। অথচ কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই সরকারের। কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকারের ওই ‘উদাসীনতা’ নিয়ে এদিন সংসদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদরা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে স্পিকার এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের হাতে এত কম পরিমাণ পেট্রোলিয়ামের স্টক থাকা রীতিমতো বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।