বাড়ল কেন্দ্র সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা। বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ। ডিআর বাড়ল অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদেরও। ভাতা কার্যকর ২০২২-এর ১ জানুয়ারি থেকেই। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বেনজির সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন তুলে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হাই কোর্টের বিচারপতি। বগটুই কাণ্ডে পদক্ষেপ বিজেপির প্রতিনিধির দলের। জে পি নাড্ডার কাছে জমা পড়ল তদন্তের রিপোর্ট। প্রভাবিত হতে পারে সিবিআই। আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিধানসভায় নজিরবিহীন হাতাহাতি, সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (DA) ৩ শতাংশ বাড়াল কেন্দ্র। বুধবার এই সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মেনেই এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৩৪ শতাংশ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্যও ডিআর (DR) ৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ফলে প্রায় ৪৮ লক্ষ কেন্দ্র সরকারি কর্মচারী এবং প্রায় ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগীরা সুবিধা পাবেন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে এই ভাতা। দেশের ঊর্ধমুখী বাজারদরের ভিতর এর ফলে খানিকটা স্বস্তি পেলেন পেনশনভোগী এবং সরকারী কর্মচারীরা।
2. শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কলকাতা হাই কোর্ট। বিস্ফোরক দাবি তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গত মাস দুই ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের মামলার রায়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের প্রতি তাঁর তাই সরাসরি প্রশ্ন, কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চ? লিখিতভাবে এই প্রশ্ন তুলে এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন তিনি। এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলার নথিপত্র দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে। এক আইনজীবীর মন্তব্যের উল্লেখ করেন তিনি, যেখানে বলা হয়েছিল, “কথা হয়ে গেছে, স্টে হয়ে যাবে”। বিচারপতির দাবি, এই ভারচুয়াল শুনানির রেকর্ড থেকে এই বক্তব্য খুঁজে বের করা হোক। বিচার করা হোক গোটা বিষয়টি। একইসঙ্গে লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানান, এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে তাঁর কাছে এসেছিলেন জনৈক আইনজীবী। তাঁর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেছেন, তাকে যেন মাফ করা হয়। পাশাপাশি এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তাঁর দেওয়া নির্দেশের পালটা সিল খাম খোলা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, সেই বিতর্কেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবং পুরো বিষয়টিতেই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চান। বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন তোলার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।