স্টার থিয়েটারের নাম বদলে ‘বিনোদিনী মঞ্চ’। সন্দেশখালির সভা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। গঙ্গাসাগর মেলায় নাশকতা রুখতে সতর্ক প্রশাসন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৩ হাজার পুলিশ কর্মী। আপাতত আলিপুর পশু হাসপাতালে বাঘিনী জিনাত। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্থগিত চার্জগঠন। বাংলাদেশে উঠল মুজিবের সংবিধানকে ‘কবর’ দেওয়ার ডাক। ব্যর্থ যশস্বীর লড়াই। মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধরাশায়ী রোহিতরা। ডার্বির পিছনোর আশঙ্কাতেই সিলমোহর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. স্টার থিয়েটারের নাম এবার থেকে বিনোদিনীমঞ্চ। সন্দেশখালির সভা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লোকসভা নির্বাচনে খবরের শিরোনামে ছিল এই সন্দেশখালি। ভোটে বিপুল জয়ের পর এই প্রথম সেখানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সভাতেই করলেন ঐতিহাসিক ঘোষণা। বিনোদিনীর এই প্রাপ্য যেন ইতিহাস নির্ধারিতই ছিল। তবে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁকে তাঁর সেই প্রাপ্য দেয়নি। সেই ঐতিহাসিক ভুল সংশোধিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। বাংলা নাট্যচর্চার ইতিহাসে শুধু নয়, বাংলার ঐতিহ্য এবং বঙ্গনারীকে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে নতুন নামের অস্থায়ী ফলক লাগিয়ে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। সরিয়ে ফেলা হয়েছে স্টার নামের ফলকও। আগামিকাল নতুন স্থায়ী ফলক লাগিয়ে ফেলা হবে বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে সন্দেশখালির মহিলাদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “আপনার টাকা, আপনার অধিকার। আমাদের প্রকল্পের জন্য টাকা লাগে না। কাউকে টাকা দেবেন না। সন্দেশখালিতে অনেক টাকার অঙ্কে খেলা হয়েছে। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু মিথ্যা বেশিদিন চলে না। সকলে মিলেমিশে থাকবেন।” সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম করলেও, মহিলাদের বদ লোকের খপ্পরে না পড়ারই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. গঙ্গাসাগর মেলায় যে কোনও নাশকতামূলক কাজ রুখতে আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১৩ হাজার পুলিশ কর্মী। সোমবার আলিপুরে সাগরমেলার প্রস্তুতি পর্ব নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী ও পাচার সংক্রান্ত ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেজন্য আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জল-স্থলে সর্বত্রই থাকছে বাড়তি নজরদারি। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম বিপদ না হয়, সেজন্য সাদা পোশাকের পুলিশবাহিনীর কড়া নজরদারি চলবে। মোতায়েন থাকছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও। মুড়িগঙ্গা নদীবক্ষ ও সমুদ্রে চলবে জোর টহলদারি। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী ও পাচার সংক্রান্ত ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেজন্য আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। নির্বিঘ্নে যাতে মেলা চলতে পারে, তাই নিশ্চিদ্র নিরাপত্তারই ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।