রাজ্যের কাঁধে ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা। বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে জানালেন ফের ঋণ না দেওয়ার আরজি। নভেম্বরেই রাজ্যে ফের শুরু ‘দুয়ারে সরকার’। এবার শিবির থেকে মিলবে আরও দু’টি পরিষেবা। রাজ্য বিজেপি আসলে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের দল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জেপি নাড্ডাকে বিস্ফোরক চিঠি সায়ন্তন বসুর। ভুল বোঝাবুঝির জেরে শুনানিতে গরহাজির পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যের কাছে বকেয়া ৫ কোটি, দাবি এনসিসি-র, অভিযোগ খারিজ চন্দ্রিমার
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগের মাঝেই রাজ্যের ঋণ নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে যাতে আর ঋণ না দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে সে আরজিও জানিয়েছেন তিনি। গত ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই সময় থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঠিক কত টাকা ঋণের বোঝা ঘাড়ে চেপেছে রাজ্যের, তা একটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে টুইটারে প্রকাশ করেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ লক্ষ কোটি টাকা করে বেড়ে বর্তমানে রাজ্যের ঋণের বোঝা ৬ লক্ষ কোটি টাকা। রাজ্যের অর্থসচিব, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রিজার্ভ ব্যাংককে ট্যাগ করা ওই টুইটে শুভেন্দুর আরও দাবি, রাজ্য সরকার আরও ১০ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে। ওই ঋণ মঞ্জুর করা হলে তাতে কোষাগারের অর্থ অপচয় করা হবে বলেই দাবি শুভেন্দুর। আয়বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের বাংলার সরকারকে পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর এই টুইট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল রাজনৈতিক মহল। ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যকে বদনাম করতেই এহেন টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা, এই মর্মে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
2. আগামী মাসের শুরুতেই ফের রাজ্যে শুরু ‘দুয়ারে সরকার’। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার এই শিবির থেকে মিলবে আরও দু’টি পরিষেবা। ওই শিবিরেই পাট্টার আবেদন করা যাবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন কিংবা বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারবেন ইচ্ছুক গ্রাহকরা। শুক্রবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ-সহ মোট ১০টি প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল ওই শিবিরে। তবে এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে মিলবে আরও দু’টি নতুন পরিষেবা। ওই শিবিরেই জমা দেওয়া যাবে বকেয়া বিদ্যুতের বিলও। সেক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। তৃতীয়বার বিপুল ভোট পেয়ে মসনদ দখলের নেপথ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সে কথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।