ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুকুল-শোভন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া সমীকরণের জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। ভাইফোঁটার দিনেও প্রতিবাদ জারি এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের। ফের ইডি’র তলব এড়ালেন অনুব্রতকন্যা। যুগান্তকারী পদক্ষেপ বিসিসিআই-এর। এবার থেকে পুরুষদের সমান ম্যাচ ফি মহিলা ক্রিকেটারদেরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যের কাছে বকেয়া ৫ কোটি, দাবি এনসিসি-র, অভিযোগ খারিজ চন্দ্রিমার
আরও শুনুন: 25 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআয়ের চার্জশিট, নাম নেই পার্থর
বিস্তারিত খবর:
1. ব্যতিক্রমী ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। ৬ বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গেলেন বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়। এদিন ছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা রাজা অনন্ত মহারাজকেও উপহার পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে এহেন ‘রিইউয়ন’ দেখে নয়া সমীকরণের জল্পনা উসকে উঠল রাজনৈতিক মহলে।
২০১৯ সালের জমজমাট ভাইফোঁটার পর কোভিডের কারণে দুবছর সেভাবে অনুষ্ঠান হয়নি। এবছর আবার মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটায় জনসমাগম, যাকে ‘পারিবারিক অনুষ্ঠান’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই নজর কাড়ল মুকুল, শোভন, বৈশাখীর উপস্থিতি। বৈশাখীর বক্তব্য, “শোভন ভাইফোঁটা পেল, আমি আশীর্বাদ পেলাম। ওঁদের মধ্যে একটা টান সবসময় রয়েছে। ভাইবোনের এই সম্পর্ক ছিলই, মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। অভিমানের মেঘ কেটে গিয়েছে।” এদিকে দশমীর পরও একদিন কালীঘাটে গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে ২০১৬ সালের পর ফের তাঁকে ভাইফোঁটা নিতে দেখে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, মুকুল ফের মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন। দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন কি না, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
2. ভাইফোঁটায় অভিনব প্রতিবাদ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের। ধর্মতলায় যমপুজোর আয়োজন করলেন আন্দোলনকারীরা। পোস্টারে লেখা ছিল, “যমের কপালে দিলাম ফোঁটা, ভাইয়ের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।” যমপুজোর পাশাপাশি সহযোদ্ধা দাদা-ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন আন্দোলনকারী বোনেরা।
গোটা উৎসবের মরশুমটাই রাস্তায় কাটিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভাইফোঁটার দিনেও বদল নেই সেই ছবিতে। তাঁদের কথায়, “শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড। আমাদের স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা করে পড়ুয়াদের তৈরি করা। স্বপ্নপূরণের জন্য কষ্ট করে পড়াশোনা করেও কোনও লাভ হয়নি। অযোগ্যরা চাকরি করছে, আমরা বঞ্চিত।” সেই কারণেই প্রতিবাদ স্বরূপ এদিন যমপুজোর আয়োজন করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভাইফোঁটার দিনে ‘দিদি’ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী একবার তাঁদের কাছে যাবেন বলেই আশা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এদিনেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোনও বার্তা না পেয়ে কার্যতই হতাশ এসএসসি আন্দোলনকারীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।