শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। তোপ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। পালটা দিলেন বাম নেতাও। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা পরিকাঠামোয়। স্থগিত রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভরতি প্রক্রিয়া। পয়গম্বর বিতর্কে এবার অগ্নিগর্ভ রাজস্থান। ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৯৫৪ জন।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, রাজ্যে ১৭ হাজার শূন্যপদ থাকলেও, আদালতের অনুমতি না-মেলাতেই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার আসানসোলের কর্মিসভা থেকে মমতা বলেন, ‘১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি রয়েছে আমার কাছে। কিন্তু আমি নিয়োগ করব কীভাবে? আদালত অনুমতি না দিলে নিয়োগ করা তো সম্ভব নয়। আমি বরাবরই বলেছি, সব ক্ষেত্রেই আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।” এদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যার পালটা দেন বাম নেতাও। বলে দেন, ১৭ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি মেধাতালিকা দেখে নিয়োগের ব্যবস্থা করব।
পাশাপাশি এদিন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ এবং সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদেও সরব হন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, “আপনারা খুন করলেও চর্চা হয় না। আমরা কথা বললেই খুনি বানিয়ে দেন! জুবেইরকে কেন গ্রেপ্তার করলেন? তিস্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল? ওঁরা কী করেছেন?” নাম না করেই এদিন বিতর্কিত নেত্রী নূপুর শর্মার প্রসঙ্গও টেনেছেন মমতা। তিনি বলেন, ”আমি নাম নেব না। আমরা নাম নিতে চাই না। কিন্তু যাঁরা ধর্ম তুলে গালাগালি করেন, তাঁদের আপনারা কেন গ্রেপ্তার করেন না?” বাংলার তরফে ওই বিতর্কিত নেত্রীকে সমন পাঠানো হয়েছে, যদিও তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এদিন এদিন সরাসরি বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রীর নাম না করলেও এই বিষয়ে বিজেপিকে তুলোধনা-ই করেন মমতা।
2. কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, “অগ্নিপথ প্রকল্প আসলে দুর্নীতি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে বিজেপি।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, “ভোট মিটলেই অগ্নিবীরদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।” তাই তাঁর আরজি, বিজেপির ফাঁদে পা না-দেওয়ার। তিনি আরও বলেন, “অগ্নিপথ প্রকল্পে রাজ্য পিছু কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পাবেন। তাও মেরেকেটে মাত্র ৪ বছরের জন্য।” এরপর সেই ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রের তরফে এমন নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির কৃতকর্মের ভার রাজ্য কেন নেবে? এদিন ফের একবার অগ্নিবীরদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির অধিকারের দাবিতে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, “৪ বছরের চাকরিতে জীবন চলে না। চাকরি করতে দিতে হবে ৬০ বছর পর্যন্ত। সেটা না পারলে মিথ্যা কথা বলবেন না।’ কেন্দ্রের এই প্রকল্প যে বড় দুর্নীতি এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় তা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।