রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানোর জের। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইল ইডি। অভিষেকের বিদেশযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের, পালটা তৃণমূলের। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল। বিশেষ চপারে মণিপুরে যাচ্ছেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা। লোকসভা ভোটের আগে জোর সমন্বয়ে। আগামী ৩১ জুলাই জোট শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক মোদির। ‘এক দেশ, এক নির্বাচনের’ পথে এগোচ্ছে মোদি সরকার। রাহুলের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে শিশু সুরক্ষা কমিশন।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইল ইডি। প্রায় দেড় মাস আগে বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়েছিলেন রুজিরা। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, সুতরাং দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না তিনি, এই মর্মে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও রুজিরা আগেই ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনার জন্য এবার ইডি ক্ষমা চাইল শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি রুজিরার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও প্রত্যাহার করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দু’মাস পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রাতেও কোনও বাধা নেই বলে এদিন জানিয়েছে ইডি। সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের সম্মতি নিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে আমেরিকা গিয়েছেন অভিষেক। সেই বিদেশযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদককে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন অভিষেকের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সেই কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই ইস্যুতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কোনও অসত্য খবর ছড়ানো হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি অভিষেকের আইনজীবীর।
2. রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাংলায় রমরমিয়ে অসাধু ওষুধচক্র কাজ করছে বলেই দাবি তাঁর। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই দাবি নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব বিরোধীরা।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ই-মেল মারফত একটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। যার ভিত্তিতে তাঁর বিস্ফোরক দাবি, “রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের একটা চক্র চলছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের উপর নতুন লেবেল লাগিয়ে বিক্রি চলছে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।” ঘটনায় তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, নৈরাজ্যের বাংলায় সবেতেই দুর্নীতি চলছে। একই সুরে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, “রাজ্যই চালাচ্ছে অসাধুরা। সেখানে সাধু চক্র চলবে তা আশা করাই ভুল।” যদিও এই ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের বিপক্ষে তৃণমূল। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে পদক্ষেপ করবে প্রশাসন, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।