সন্দেশখালি নন্দীগ্রাম নয়! নাম না করেই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উসকে দিলেন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, অশান্তির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান, বিস্ফোরক শুভেন্দু। পালটা কুণালের। হিমাচলে চরম সংকটে কংগ্রেস সরকার। বিধায়কদের বিদ্রোহের পর পদত্যাগ মন্ত্রীর। স্বাধীন ভারতের প্রথম নাগরিক হিসেবে নাইটহুড সুনীল মিত্তলের। বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক। রনজি না খেলার শাস্তিতে চুক্তি থেকে বাদ ঈশান-শ্রেয়স।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ৭ দিনেই গ্রেপ্তার শাহজাহান, আদালতের নির্দেশের পর দাবি কুণালের
বিস্তারিত খবর:
1. সন্দেশখালির অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছে গেরুয়া শিবির, অভিযোগ তৃণমূলের। এবার নাম উল্লেখ না করেও সেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উসকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বক্তব্য, “সিঙ্গুর হল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম হল নন্দীগ্রাম, এক এক জায়গার এক একটা আলাদা আলাদা চেহারা মনে রাখবেন, একটার সঙ্গে আর একটার তুলনা করে অশান্তি বাধিয়ে দিয়ে ভুল করবেন না। কোথাও রক্ত ঝরুক আমি চাই না।” জ্ঞানত তিনি কোনও ভুলকে প্রশ্রয় দেন না বলেও জানান মমতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফর পর্যন্ত সন্দেশখালির অশান্তি ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে হবে, তাই দিল্লি থেকে ইন্ধন জোগানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মুখে বার বার ‘সন্দেশখালি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম’ মন্তব্যও শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে পালটা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল শিবির। এই পরিস্থিতিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উঠে আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
2. শাহজাহান ইস্যুতে ফের বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাত থেকে পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান শেখ। পুলিশ ও জেল হেফাজতে তাঁকে সবরকম সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এমনকি প্রয়োজনে শাহজাহানকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকবে, এমনটাই দাবি শুভেন্দুর। পালটা শুভেন্দু ও শাহজাহানের একসঙ্গে ছবি প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতাকে তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, শাহজাহান কোথায় তা জানলে শুভেন্দুই সে কথা বলে দিন।
এদিকে শাসক দলের দাবি, তদন্তে ‘স্থগিতাদেশ’ জারি করে আসলে আদালতই হাত-পা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য পুলিশের। না হলে আগেই গ্রেপ্তার করা হত ফেরার নেতাকে। তবে সেই দাবি উড়িয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিল, শাহজাহানের গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, ইডি কিংবা রাজ্য পুলিশ যে কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে, সাফ জানালেন প্রধান বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।