এনসিসি-র বকেয়া ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের কাছে বকেয়া ৫ কোটি, দাবি এনসিসি-র। হিসেব পেলেই বরাদ্দ মেটানো হবে, জানালেন অর্থমন্ত্রী। ‘পার্থ দলের জন্য বিড়ম্বনা, অনুব্রত বা মানিক নন’। সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যে জোর বিতর্ক। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদলকে একযোগে তোপ বিরোধীদের। অর্থনীতির হাল ফেরাতে নোটে থাকুক লক্ষ্মী-গণেশের ছবি। মোদির কাছে আরজি কেজরিওয়ালের। ভোটব্যাংকের রাজনীতি নিয়ে কেজরিকে তোপ বিরোধীদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআয়ের চার্জশিট, নাম নেই পার্থর
আরও শুনুন: 24 অক্টোবর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ব্রিটেনে ইতিহাস, প্রধানমন্ত্রীর মসনদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক
বিস্তারিত খবর:
1. এনসিসি-র আর্থিক বরাদ্দ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্য বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না, তাই নতুন ক্যাডেট নেওয়া বন্ধ করল ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস বা NCC। আর্থিক সমস্যার জেরে বর্তমান ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই মর্মে এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রককে চিঠি দিলেন বাংলা ও সিকিমের এনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি। সাধারণত এনসিসি বা ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুবশাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৭৫ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। ২৫ শতাংশ দেয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের তরফে সেই বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন এনসিসির এডিজি। রাজ্যের অর্থসচিব-সহ একাধিক আধিকারিক ও দপ্তরের কাছে আবেদন করেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, বকেয়া রয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শাসক দলের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তোষণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে টাকা রয়েছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও বিষয়, যুবসমাজের উন্নয়নের জন্য সরকারি তহবিলে টাকা নেই। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীরও মত, খেলা-মেলা করতে গিয়ে রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। এনসিসি ও বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, এনসিসি খরচের হিসেব দিলেই রাজ্য টাকা দেবে। এ মাস পর্যন্ত সমস্ত পাওনা রাজ্য মিটিয়ে দিয়েছে, এই দাবি করে বিরোধীদের সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন শাসকদল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
2. নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলা-, একের পর এক ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। এই ইস্যুতে মুখ খুলে এবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সাফ কথা, দলের জন্য বিড়ম্বনা একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই, অন্য কোনও নেতা-মন্ত্রী নন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সিবিআই-ইডির জালে একের পর এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও। এদিকে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজনকে। কিন্তু পার্থর গ্রেপ্তারির পরই দল তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেও অনুব্রত মণ্ডল বা মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। সেই বিষয়টিই এবার খোলসা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এদিন বলেন, “পার্থ দলের জন্য বিড়ম্বনা, মানিক বা অনুব্রত নন। কারণ, পার্থর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে নগদ প্রচুর টাকা দেখেছে মানুষ। যা মানিকদের ক্ষেত্রে হয়নি। তাঁদের বাড়ি থেকে নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু টাকা মেলেনি।” যদিও এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক দলের উদ্দেশে তোপ দেগেছে বাম-বিজেপি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।