হকার উচ্ছেদে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। ‘বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব’, মমতাকে পালটা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর। বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে লোকসভায় পিছিয়ে থাকা এলাকায়। রাজ্যের মন্ত্রীদের নির্দেশ মমতার। জনসংযোগেও জোর দেওয়ার বার্তা নেত্রীর। রাজ্যে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব তৃণমূল সরকারের। বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ আর বাড়াল না হাই কোর্ট। রাজ্য ব্যর্থ হলে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. হকার উচ্ছেদ এবং জমি জবরদখল নিয়ে প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই হকার উচ্ছেদে কড়া অ্যাকশনে রাজ্য। কলকাতা, বিধাননগর থেকে আসানসোল, শিলিগুড়ি পুরনিগম- বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে দখল করে বসা দোকানদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ এবং পুরসভা। সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া অবৈধ নির্মাণও ভেঙে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্নের নির্দেশ, এই দুই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের আমলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনার এবং কর্তাদের। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘দখলদার’ উচ্ছেদে বাধা দিতে বলে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে তিনি নিজে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, “সরকারি জমি উদ্ধার কি কেবল বিধাননগর, গড়িয়াহাট, হাতিবাগানে? আমরা জানতে চাই পার্কসার্কাস, মেটিয়াব্রুজে কবে হবে?” অর্থাৎ ঘুরিয়ে তোষণ নীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, তিনি বা তাঁর দল বেআইনি ভাবে সরকারি জমি অধিগ্রহণের পক্ষে নেই। কিন্তু উচ্ছেদের জন্য আগে রাজ্য সরকারকে এসওপি তথা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করতে হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। দাবি তুলেছেন গরিব মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানেরও। একইসঙ্গে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য নিয়েও প্রতিবাদের পথে হাঁটছে বিজেপি।
2. লোকসভা নির্বাচনে সবুজ ঝড় উঠেছে রাজ্যে। চমকপ্রদভাবে ৪২ আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ২৯টি। কিন্তু বিজেপিকে ১২টি আসনে থামিয়ে দেওয়ার পরেও, আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। এত সাফল্যের মধ্যেও যে সব এলাকায় খারাপ ফলাফল হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। বুধবার লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে সব এলাকায় লোকসভায় ফলাফল আশানুরূপ হয়নি, বা যেসব এলাকায় শাসকদল পিছিয়ে রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে মন্ত্রীদের। সেইসব এলাকায় কী সমস্যা রয়েছে, কেন মানুষ শাসক দলকে ভোট দিল না, সেদিকে নজর রাখতে হবে মন্ত্রীদেরই। নজর দিতে হবে জনসংযোগেও।
২০২৪ লোকসভার ফলাফলকে বিধানসভার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে আছে ১৯২ আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৯০টি বিধানসভায়। কংগ্রেস এগিয়ে ১১ আসনে, বামেরা একটি আসনে। রাজ্যের শহরাঞ্চলে এবার তুলনায় খারাপ ফল হয়েছে শাসকদলের। সেই সব এলাকা নিয়েই চাপ বাড়ছে শাসকদলের অন্দরে। ভোট মিটতে না মিটতেই সেদিকে কড়া নজর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।