পঞ্চায়েতের প্রচারে নেমেই কেন্দ্রকে তোপ মমতার। নিশানায় বিএসএফও। ‘গুলি করলে গ্রেপ্তার করুন’, কোচবিহার থেকে পুলিশকে নির্দেশ নেত্রীর। ভোট-অশান্তির ‘সঠিক তথ্য’ দিচ্ছে না প্রশাসন। শিলিগুড়ি থেকে রাজ্যকে তোপ রাজ্যপালের। পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ফের জট। মনোনয়ন বিকৃতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ। গৃহযুদ্ধে উত্তপ্ত মণিপুর। সেনা নামিয়েও নিয়ন্ত্রণে নেই পরিস্থিতি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রধানমন্ত্রীর মুকুটে নয়া পালক, মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন মোদি
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েতের প্রচারে নেমেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতার আশ্বাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা আদায় করে আনবেন। একইসঙ্গে বিএসএফকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কোথাও গুলি চালানো হলে পুলিশ যেন গ্রেপ্তার করে, সাফ নির্দেশ মমতার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের প্রথম নির্বাচনী সভা থেকে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া নিয়ে ফের সরব হলেন তিনি। ১০০ দিনের বকেয়া, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া, এমন একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতার আশ্বাস, “আমরা বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করব। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জিতে টাকা নিয়ে আসব।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফ-কেও এদিন নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারে একাধিকবার বিএসএফের গুলিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতার আক্রমণ, “গুলি করা যেন অধিকার হয়ে উঠেছে। সীমান্ত পাহারা দেওয়ার নামে লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে, অত্যাচার করছে।” বিএসএফের ‘অতি সক্রিয়তা’ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে জানান। আর কোথাও গুলি চললে পুলিশ যেন গ্রেপ্তার করে।” বিজেপি ভয় দেখাতে এলে পালটা আক্রমণের কথাও বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
2. পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাস ও হিংসা নিয়ে ফের প্রশাসনকে তোপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজ্যপাল দাবি করলেন, তাঁর কাছে ছাড়াই-বাছাই করে সন্ত্রাসের রিপোর্ট পাঠানো হয়। তাই উত্তরবঙ্গে যেখানে ভোট-অশান্তির অভিযোগ এসেছে, সেসব এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল ক্যানিং। সেসময় সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাফ জানালেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাই আমি গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে দেখতে চাই সন্ত্রাস আর হিংসার ছবিটা কতখানি ভয়ংকর। আহত এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই।” আপাতত দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই সফরকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর দাবি, যেখানে বিরোধী দলের কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, সেসব জায়গায় বেছে বেছে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সেখানেও তাঁকে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।