এশিয়ান গেমসে প্রথমবার নেমেই সোনা জয় হরমনপ্রীতদের। বোলিং-এ আগুন ছোটালেন বাংলার তিতাস। মহিলা ব্রিগেডকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির। ডেঙ্গু রুখতে মরিয়া রাজ্য। ছুটির দিনেও জরুরি প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক নবান্নে। ৪ জেলাকে হুঁশিয়ারি, স্বাস্থ্যপরীক্ষায় জোর দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যসচিবের। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার। ফের সেতু বিপর্যয় গুজরাটে। নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ অন্তত ৬। বারবার গুজরাটেই কেন দুর্ঘটনা, ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারকে তীব্র কটাক্ষ কুণাল-চন্দ্রিমার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. এশিয়ান গেমসেও মহিলাদের ক্রিকেটে ভারতের দাপট অব্যাহত। প্রথমবার খেলতে নেমেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জিতলেন হরমনপ্রীত কৌররা। ফাইনাল ম্যাচে বেশ কয়েকবার চাপে পড়লেও দারুণভাবে ফিরে এসে ম্যাচ পকেটে পুরেছেন সোনার মেয়েরা। কমনওয়েলথ গেমসে রুপোর পর ফের নতুন পালক ভারতের মহিলা ক্রিকেটের মুকুটে।
সোনার লড়াইয়ে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে সেই সিদ্ধান্ত সেভাবে কাজে আসেনি। শুধু স্মৃতি মান্ধানা ও জেমাইমা রডরিগেজ ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। অধিনায়ক হরমনপ্রীত থেকে শুরু করে ওপেনার শেফালি- শ্রীলঙ্কা স্পিনারদের সামনে বিপাকে পড়েন সকলেই। ২০ ওভারের শেষে মাত্র ১১৬ রান তোলে ভারত। তবে ভারতকে ম্যাচে ফেরান বঙ্গকন্যা তিতাস সাধু। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে দলের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন। সেখান থেকেই আটাপাট্টুদের উপর চাপ তৈরি করতে থাকেন ভারতের বোলাররা। এরপর ৪০ ওভার টানটান লড়াইয়ের শেষ হাসি হাসল ভারতের মেয়েরাই।
অন্যদিকে, ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সোনা জিতল ভারতের দিব্যাংশ সিং পানওয়ার, রুদ্রাংশ বালাসাহিব ও ঐশ্বর্য প্রতাপ সিং তোমারের দল। একসঙ্গে পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বিশ্ব রেকর্ডও গড়ল ভারত। এদিন দেশের মহিলা ক্রিকেট দল এবং সোনা জয়ী এযার রাইফেল দলকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। লিখেছেন, ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে তেরঙ্গাকে উঁচুতে তুলে ধরেছে আমাদের মেয়েরা। তাঁদের দুর্দান্ত এই জয়ের জন্য অভিনন্দন।’ এছাড়া, রোয়িংয়েও একটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত একটি সোনা এবং তিনটি রুপো ও চারটি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে আটটি পদক এল ভারতের ঝুলিতে।
2. রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুও ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সালাম দিতে সোমবার, ছুটির দিনেও জরুরি বৈঠক বসল নবান্নে। জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে দুটি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। প্রথম বৈঠকে উদ্বেগের শীর্ষে থাকা চার জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পরে সবক’টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মুখ্যসচিব। জেলাগুলিকে পাঁচ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মশাবাহিত রোগের সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায়। সেখানকার প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলার হটস্পটগুলো চিহ্নিত করার জন্য। নবান্নের কড়া নির্দেশ, কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। বিশেষত বাজার এলাকা, বন্ধ কলকারখানা জমা জল ও মশার আঁতুড়ঘর। তাই সেসব জায়গা অগ্রাধিকার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করে, বন্ধ কারখানার তালা ভেঙে ঢুকে জমা জল নিষ্কাশন করতে হবে। সেইমতো সোমবারই যাদবপুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া কৃষ্ণা গ্লাস ফ্য়াক্টরিতে ড্রোন উড়িয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া দমদম ও বিধাননগর পুরসভা এলাকার পরিস্থিতিও খারাপ। তাই সতর্ক করা হয়েছে পুরসভাগুলিকেও। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু সংক্রমণ রুখতে পুলিশ প্রশাসনকে যুক্ত করার কথা। পাশাপাশি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। প্রাথমিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাবধানতা অবলম্বনের কথাও এদিন ফের মনে করিয়ে দেন মুখ্যসচিব।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।