সাংসদ পদ খারিজের পরও অনড় রাহুল গান্ধী। আদানি নিয়ে প্রশ্ন করবই, কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত বজায় রাখার বার্তা। ৪৪ দিন পর অনশন প্রত্যাহার ডিএ আন্দোলনকারীদের। ধর্মঘটে যোগের জেরে কর্মীদের বেতন কাটছে রাজ্য, শুরু বদলিও। ২৯ মার্চ শহিদ মিনারেই সভার আয়োজন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। OMR শিট সংস্থার কর্ণধার নীলাদ্রিকে জেরার উদ্যোগ সিবিআই-এর। ব্যাপক সফল ‘চোখের আলো’ প্রকল্প। ২ বছরের খতিয়ান দেখিয়ে টুইট মমতার। স্নাতকে চার বছরের পাঠক্রম চালু হচ্ছে না এখনই।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- খারিজ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ, বিজেপিকে একযোগে তোপ মমতা-সহ বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. মোদি মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের জেরে কারাদণ্ডের সাজার পর সাংসদ পদও খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। তবে এই পরিস্থিতিতেও আত্মবিশ্বাসী রাহুল। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো আক্রমণের সুরে তিনি বলেছেন, ”আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আমার ভাষণকে ভয় পান বলেই।” তাঁর সাফ কথা, আদানি-মোদির সম্পর্ক নিয়ে এরপরেও প্রশ্ন তুলবেন তিনি। আদানির সংস্থা কীভাবে রাতারাতি ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পেল, তা নিয়েও সরব রাহুল। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার যে দাবি বিজেপি তুলেছে, তার জবাবে রাহুলের হুঙ্কার, ”আমার নাম সাভারকার নয়। আমি গান্ধী। ক্ষমা চাইব না।” যদিও রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর কেরলের ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্র এখন জনপ্রতিনিধিহীন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্র জনপ্রতিনিধিহীন হয়ে গেলে ৬ মাসের মধ্যে সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হয়। কিন্ত রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, দ্রুত সেই প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় কেন্দ্র সরকার। যাতে উচ্চ আদালতে শাস্তি কমালেও সাংসদ পদ ফিরে না পান রাহুল।
এদিকে আরেকটি পুরনো মামলার জেরে নয়া বিপাকে রাহুল গান্ধী। ২০২১ সালে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পরেই তাঁর নামে মামলা দায়ের করা হয়। কারণ ভারতের ‘পকসো’ আইনের অধীনে ধর্ষিতা নাবালিকা বা তার পরিবারের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। বিষয়টি নজরে আসতেই টুইটার থেকে ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেই মামলাতেই এবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে। ২৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
2. ৪৪ দিন পর অনশন প্রত্যাহার করলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তবে অনশন তুলে নিলেও, আন্দোলন জারি থাকছে বলেই হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ডিএ আন্দোলনকে কার্যত পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এখানেই দেখা গিয়েছে যুব কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। ১১ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ফলে আন্দোলনের মেয়াদ বেড়েছে আরও। কিন্তু অনশনের জেরে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন আন্দোলনকারীদের অনেকেই। তাই আন্দোলনকে দুর্বল হতে না দিয়ে তড়িঘড়ি অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
এদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার জেরে কর্মীদের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করল রাজ্য। বন্ধের দিন কাজে অনুপস্থিত থাকা প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী-সহ বিভিন্ন দপ্তরের বহু কর্মীকে আগেই শোকজ করেছিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর। শোকজের সন্তোষজনক জবাব না মেলায় তাঁদের একদিনের বেতন কাটতে চলেছে সরকার, নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই। পাশাপাশি, ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ১০ কর্মীকে বদলি করা হয়েছে বলেও খবর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে পালটা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।