আর জি কর কাণ্ডে বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ২৮ আগস্ট থেকে ধর্মতলায় ধরনা, মেগা প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির। পালটা কটাক্ষ কুণালের। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই হানা। দুর্নীতি’র খোঁজে তদন্ত চলল আরও ১৫ জায়গায়। নারী নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তি হবেই, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর। ঘোষিত আইএসএলের সূচি। প্রথম ম্যাচে মোহন বনাম মুম্বই সিটি, ১৯ অক্টোবর মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 23 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ১৪ দিনের জেল হেফাজত, পলিগ্রাফ টেস্টেও সম্মতি আর জি কর কাণ্ডে ধৃতের
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের আরও ঝাঁজ বাড়াতে চলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ধর্মতলায় ধরনার ঘোষণা করেছেন সুকান্ত। মূলত গেরুয়া শিবিরের নারী ব্রিগেড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। দলের মহিলা সদস্যদের কাছে সুকান্তর আর্জি, কমপক্ষে ১ জন করে পরিচিত মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যোগদান করতে হবে। ২৯ আগস্ট জেলায় জেলায় জেলাশাসক দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। এর পর আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিজেপি কর্মীদের একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিটি মণ্ডলে রাস্তা অবরোধ করবে বিজেপি। সুকান্তর হুঁশিয়ারি, “ওইদিন একটি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না। এক ঘণ্টার জন্য বাংলা স্তব্ধ থাকবে। আবশ্যিক পরিষেবায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করবেন বিজেপি কর্মীরা।” বিজেপির কর্মসূচি ঘোষণা তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “যা মিছিল শুরু হবে সেগুলো সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই অফিসে শেষ হওয়া উচিত।” একইসঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলেও তোপ দেগেছেন কুণাল।
2. আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সিবিআই হানা। রবিবার ভোর সাড়ে ৬ টা নাগাদ নাগাদ আধিকারিকরা সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পর বের হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। পাশাপাশি আর জি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ ও আরেক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ ১৫ জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যালেও পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। সুপারের ঘরেও ঢোকেন। ইতিমধ্যেই সন্দীপ জমানার একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যভবন ও কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই ফুড স্টল, কাফে, ক্যান্টিন, সুলভ কমপ্লেক্স তৈরির জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। তিনজন বিশেষ ব্যবসায়ীই এই প্রত্যেকটি ‘বেআইনি’ টেন্ডার পান। ফিনান্স ও অ্যাকাউন্ট অফিসারদের কিছু না জানিয়েই এই বরাতগুলি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ডাক্তারি শিক্ষার তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগও উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, একদিন অন্তর হাসপাতালের ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে কয়েকশো বর্জ্য বের হতো। জানা যাচ্ছে, তাতেও দুর্নীতি করতেন সন্দীপ। এদিকে, ৮ ঘণ্টা বাড়িতে CBI তল্লাশির পর নিজামে হাজির হলেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দেবাশিস সোম। এদিন সস্ত্রীক নিজামে হাজির ছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, দেবাশিসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে। তবে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।