কাজ না করলে পুরসভাকে ‘পেনাল্টি’র নির্দেশ মমতার। জমি জবরদখল নিয়েও তীব্র ক্ষোভ, নবান্নের বৈঠকে দলের হেভিওয়েটদের তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর। সংসদে শুরু ১৮তম অধিবেশন। নবনির্বাচিত সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ৩ গুণ পরিশ্রমের প্রতিশ্রুতি মোদির। সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই সরকারকে চাপে ফেলতে একজোট বিরোধীরা। ঝড় উঠল নিট ইস্যুতে। সংবিধানের কপি হাতে বিক্ষোভে শামিল ইন্ডিয়া জোট। জিম্বাবোয়ে সফরে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন শুভমান গিল। ১৫ জনের দল ঘোষণা বিসিসিআই-এর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 23 জুন 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় ফের নাশকতার ছক, নয়া জঙ্গি মডিউল ‘শাহাদত’-র হদিশ পেল STF
আরও শুনুন: 22 জুন 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কড়া আইন, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল কেন্দ্র
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্য জুড়ে পুর পরিষেবার বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের বৈঠকে পরিষেবার নিরিখে পুরসভাগুলিকে রিপোর্ট কার্ড দিলেন তিনি। পুর পরিষেবা নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “এবার কি আমাকে রাস্তায় ঝাঁট দিতে হবে?” কাজ না করলে পুরসভাকে ‘পেনাল্টি’র নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোথাও রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। কোথায় জ্বলছে না রাস্তার আলো। কোথাও আবার বর্জ্য নিকাশী ব্যবস্থা বেহাল। টাকার বিনিময়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগও উঠছে। এবার এই সবকিছু নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ প্রশ্ন, “পরিষেবা না পেলে পুরসভার দরকার কী? একের পর এক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে, বাংলার ছবি বদলে দিচ্ছে।” জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ-আমলা অনেকেই এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলেও স্পষ্ট জানালেন তিনি। তাঁর নিশানায় একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যানরা। বাদ গেলেন না মন্ত্রীরাও। বিধাননগর পুরনিগমে ইচ্ছমতো লোক বসানো হচ্ছে, সরাসরি এই অভিযোগ তুললেন সুজিত বসুর বিরুদ্ধে। তাঁর তিরস্কারের মুখে পড়তে হল শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবকেও। এদিকে টেন্ডারের মাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। সে কারণে এবার থেকে স্থানীয়ভাবে টেন্ডার বন্ধ করে দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে টেন্ডার হবে বলে জানালেন মমতা। টেন্ডার পর্যালোচনার কাজে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ভূমি, অর্থ, সেচ দপ্তরের সচিবদের পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার, ডিজি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সেই কমিটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
2. নবনির্বাচিত এনডিএ সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই সংসদে শুরু হল ১৮তম অধিবেশন। নতুন সংসদ ভবনে সোম ও মঙ্গলবার সাংসদদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এদিন সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদিও। অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৮-র গুরুত্ব বোঝালেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা, “আমরা চাই, বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে। গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য বিরোধীদের শক্তিশালী হওয়া খুব প্রয়োজন। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের কাজে সাহায্য করবে। সংসদে স্লোগান নয়, মতামত চাই।” যদিও জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে চাপে রাখার কৌশল নিতেও ছাড়েননি তিনি। বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে তৃতীয়বার দেশ চালাতে গিয়ে তিনগুণ বেশি পরিশ্রমের প্রতিশ্রুতি মোদির।
এদিকে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিলেন বিজেপি সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাব। প্রোটেম স্পিকার পদে মহতাবের নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটের দাবি ছিল, প্রোটেম স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পাওয়া উচিত কে সুরেশের। কারণ, কে সুরেশ আটবারের সাংসদ। আর রীতি অনুযায়ী সবচেয়ে প্রবীণ সাংসদই প্রোটেম স্পিকার হন। কিন্তু ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন মহতাবকেই শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।