নেতাজি স্মরণে আন্দামানে দ্বীপের নামকরণ। ‘নেতাজিই নাম দিয়েছিলেন’, মোদিকে মনে করালেন মমতা। ‘বিক্ষোভ নয়, মানুষ কথা বলছেন, আরও বলুন’ বার্তা তাঁর। ‘নেতাজির আদর্শেই চলছে দেশ গঠন’, দাবি মোহন ভাগবতের। দিল্লি যাত্রা নয়, আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারই ঠিকানা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে প্রার্থী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে জয় মহম্মদ শামির প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহানের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সরস্বতী পুজোয় অনুমতি নেই প্রেসিডেন্সির, পুজোয় অনড় TMCP
বিস্তারিত খবর:
1. দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুকে স্মরণ করে আন্দামানে দ্বীপের নামকরণ করেছে কেন্দ্র। সোমবার রেড রোডে নেতাজির জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে প্রসঙ্গেই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি জানান, নতুন করে এসব নামকরণের অর্থ নেই। নেতাজি নিজেই তা করে গিয়েছিলেন। তিনি যখন আন্দামানে যান, তখনই দ্বীপের নামকরণ করেছিলেন। এর আগে নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান জানানো নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একাধিকবার ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটির দাবি জানানো সত্ত্বেও তা নাকচ হয়েছে। নেতাজির তৈরি প্ল্যানিং কমিশনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করা নিয়েও কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন তিনি। দেশনায়কের ১২৭তম জন্মদিনে তিনি সেই ইস্যু ফের তুললেন। এর আগেই মোদি, শাহ দাবি করেছেন, দেশনায়কের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানিয়েছে একমাত্র মোদি সরকার। এমনকী কংগ্রেসও এই কাজে পিছিয়ে বলে দাবি তাঁদের। তা নিয়ে এদিনের মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘নেতাজির তৈরি প্ল্যানিং কমিশনটাই তো তুলে দিল, কীসের সম্মান?’ এদিন রাজ্য সরকারের নেতাজি স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি পরিবারের দুই সদস্য সুগত বসু ও চন্দ্র বসু। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে এক মঞ্চে তাঁদের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। নেতাজির আদর্শ স্মরণ করে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেই মনে করিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্টরা। পাশাপাশি এদিন নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণারও আরজি জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
2. ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের ঘিরে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভের তত্ত্বই নাকচ করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘মানুষ কথা বলছেন, আরও বলুন’। গত ২ জানুয়ারি তৃণমূলের মেগা বৈঠকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামে ওই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল আরও নিবিড় জনসংযোগ। তারই একটি অংশ ছিল, ‘দিদির দূত’ হয়ে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রামে গ্রামে ঘোরা। বিগত কয়েকদিনে এই কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সারা পড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ জানাতে থাকেন। তবে তা কখনও বিক্ষোভের চেহারাও নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। কিন্তু এই পুরো বিষয়টিকে বিক্ষোভ বলতে নারাজ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সাংসদ-বিধায়করাও। তাঁদের দাবি ছিল, মানুষ নালিশ জানাচ্ছেন নানা বিষয়ে, সমাধান চাইছেন। একে বিক্ষোভ বলা যায় না। এদিন কার্যত ‘দিদির দূত’দের সেই বক্তবক্যেই সমর্থন করেছেন দলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনাকে বিক্ষোভ বলবেন না। মানুষ কথা বলছেন। তাঁরা কথা বলুন, এটাই আমরা চাই।” তিনি আরও বলেন, ”মানুষ নিজেদের কথা নিজেরাই বলছেন। আমরা চাই, তাঁরা কথা বলুন। সমস্যার কথা আমাদের জানা দরকার। তবেই তা কাজ করা যাবে আরও বেশি।” অর্থাৎ মানুষের অভাব-অভিযোগ বা ক্ষোভ সত্ত্বেও জনসংযোগের এই কর্মসূচি যে বজায় থাকবে, এদিন সেই বার্তাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।