নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাতিল প্রাথমিকের ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি। সাফল্যের দোরগোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক প্রকল্প। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পেতে চলেছে ৮০ হাজার পড়ুয়া। খাদ্য উৎপাদনেও স্বাবলম্বী হচ্ছে রাজ্য। করোনা ভাইরাসকে রুখতে মিশ্র বুস্টার ডোজ হিসেবে আসছে ন্যাজাল ভ্যাকসিন। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা সিকিমের খাদে সেনা ট্রাক পড়ে নিহত ১৬ জওয়ান। শোকপ্রকাশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর। নির্বাচন ঘিরে ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। শুরু আইপিএল-এর মিনি নিলাম। রেকর্ড দামে স্যাম কুরানকে কিনল পাঞ্জাব।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত। ফের প্রাথমিক টেটের চাকরি বাতিল করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এক জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
প্রাথমিক স্কুলে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন— এই অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই শিক্ষকদের হলফনামা দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ৫৪ জন বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক হলফনামা জমা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ বেআইনি নয়, এ কথা প্রমাণ করতে না পারলে আরও বেশ কয়েকজনের চাকরি বাতিল হওয়ার আশঙ্কা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
2. ফের সাফল্যের দোরগোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্প। নির্বাচনে জয়ের পরই পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জানুয়ারির মাঝামাঝিই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণপ্রাপকের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। তবে শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নয়। স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার প্রকল্পে ঋণদানের ক্ষেত্রেও রাজ্য অগ্রণী ভূমিকায়। শুক্রবার ব্যাংক কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মহিলাদের গোষ্ঠীগুলির ঋণ ফেরত দেওয়ার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। তাই এই গোষ্ঠীগুলিকে ঋণদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো হোক। আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজ্যের এই গোষ্ঠীগুলিকে ৬ কোটি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে খাদ্য উৎপাদনেও এবার সাফল্যের মুখ দেখল রাজ্য। ভিনরাজ্যের উপর ভরসা না করে, এবার এই রাজ্যেই বাণিজ্যিক ভাবে ডিম উৎপাদন হতে চলেছে। শুক্রবার রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র জানিয়েছেন, বাম আমলে এই ব্যাপারে মূলত তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপর নির্ভরশীল ছিল বাংলা। কিন্তু গত বছর রাজ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি ডিম উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা সরকার বেঁধে দিয়েছিল, ৬ মাসের মধ্যে তার ৫০ শতাংশের বেশি টার্গেট পূরণ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও রাজ্য বিপুল উন্নতি করছে বলেই আশা দেখছেন রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।