SSC মামলায় বড় রায় হাই কোর্টে। বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ চাকরি, ফেরাতে হবে সুদ-সহ বেতন। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে SSC। চাকরিহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি-হাই কোর্ট আঁতাঁত, অভিযোগ তৃণমূলের। জঙ্গিদের নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মুম্বই হামলার চক্রী। ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। লোকসভায় প্রথম জয়ের খাতা খুলল বিজেপি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 21 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- গরমে ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল কলকাতা, তাপপ্রবাহ জারি আগামী সপ্তাহেও
আরও শুনুন: 20 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- কংগ্রেসকে ‘মদত’ দেবে তৃণমূল, মালদহ থেকে শর্ত চাপালেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটের মুখে SSC নিয়োগ মামলায় বড় রায় কলকাতা হাই কোর্টের। ২০১৬ সালের বিতর্কিত প্যানেল খারিজ করল আদালত। চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। আদালতের নির্দেশে, চাকরিহারাদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরাতে হবে। দিতে হবে বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে সুদ। ডিআই এবং জেলাশাসকদের মারফতই বেতন ফেরাতে হবে বলে নির্দেশ। শুধুমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। জানা গিয়েছে, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ওই প্রার্থীর চাকরি মানবিক কারণেই বহাল রেখেছে আদালত। পাশাপাশি সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলবে বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে দুর্নীতিগ্রস্তদের হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসিকে আদালতের নির্দেশ, যে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি, সেগুলি দ্রুত আপলোড করতে হবে। উত্তরপত্র যাতে সকলে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওএমআর প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইসার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। হাই কোর্টের মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের পরে সমস্ত নিয়োগই অবৈধ। এদিকে, হাই কোর্টের রায় নিয়ে খুশি নয় এসএসসি। চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “নিয়োগ প্রক্রিয়ার সিবিআই অনুসন্ধান চলেছে।” কী কারণে কার চাকরি গেল, তা সবিস্তারে আগে জানা প্রয়োজন বলে জানান এসএসসি চেয়ারম্যান। তার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
2. চাকরি বাতিল নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার। যদিও এর সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘বোমা বিস্ফোরণ’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ জুড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ইঙ্গিত, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি হারানোকেই ‘বোমা ফাটা’ বলতে চেয়েছেন শুভেন্দু। এরপরই চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আশ্বাস, “আমরা আপনাদের পাশে আছি। লড়ব। টোটাল রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “চিন্তা করবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিপদে পড়লে, আমরা আছি। আরও ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি হয়ে আছে।” বিজেপিকে নিশানা করেও একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বলেন, “একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। তাঁর অর্ডার ছিল এটা।” যার পালটা বিজেপি নেতা অভিজিৎ বলেন, “মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ঠকিয়েছিলেন। সকলের উচিত তৃণমূলকে বয়কট করা। জোচ্চরদের ফাঁসিতে চড়ানো উচিত।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। এদিকে, রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি কি সুবিচার হল? যদিও শুভেন্দুর বোমা বিস্ফোরণ মন্তব্যকে আমল দিতে চাননি কুণাল। এ বিষয়ে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বার্তা, যোগ্যদের চাকরি যেতে দেবে না সরকার। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। যদিও, পুরো বিষয়টিকে রাজ্য় ‘স্পনসর্ড’ দুর্নীতি বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। পাশাপাশি শুভেন্দুর গলাতেই সুর মিলিয়ে মন্ত্রিসভার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন তিনিও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।