কংগ্রেসকে ‘মদত’ দিতে রাজি তৃণমূল। মালদহের সভা থেকে শর্ত চাপালেন মমতা। ফের বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। প্রকাশ্যে বাংলার প্রথম দফায় ভোটের হার। দেশের মানুষ এনডিএকেই চায়। নির্বাচনের প্রথম দফা মিটতেই হুঙ্কার মোদির। জেলে কেজরিওয়ালকে ধীরে ধীরে হত্যার চেষ্টা। আপ সুপ্রিমোর অসুস্থতায় বিস্ফোরক অভিযোগ আপের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাকিস্তান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রথম দফায় রেকর্ড ভোটদান বাংলায়, নির্বাচন শান্তিতেই, জানাল কমিশন
আরও শুনুন: 18 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সোমবার থেকেই স্কুলে গরমের ছুটি শুরু, ৮ জেলায় লু-এর সতর্কতা
বিস্তারিত খবর:
1. কংগ্রেসকে ‘মদত’ দিতে রাজি তৃণমূল। মালদহের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তবে বাংলায় নয়, বরং দেশের অন্য প্রান্তে। শনিবার মালদহের গাজোল ও মানিকচকে নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বলেন, “কংগ্রেস যেখানে যেখানে লড়াই করছে ভালো করে লড়াই করুক, পুরো মদত দেব। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটতে আসবে না।” এর পরই তাঁর অভিযোগ, “বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম, বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাংলার পাওনা-গন্ডা নিয়েও সরব হন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতার কটাক্ষ, “৪০০ তো দূর কি বাত। এবার ২০০-ও পেরবে না ওরা।” এদিকে, শনিবার বিজেপির দলবদলকারী প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে সভা করেন তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন,”দিল্লিতে ভূমিকম্প চাই। যারা ভাগাভাগির কথা বলে, হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমানদের লড়িয়ে দেয়, দাঙ্গা করায়, তাদের সরাতে হবে।” জনতার উদ্দেশে অভিষেকের আর্জি, “কৃষ্ণ কল্যাণীকে জিতিয়ে বিজেপিকে জবাব দিন। মনে করিয়ে দেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আয়কর বিভাগ কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে তল্লাশির কথাও। এরপরই বলেন “কথা দিচ্ছি, ৪ জুন ফল প্রকাশের পরই এখানে আসব। সকলের সঙ্গে বিজয় উৎসবে শামিল হব।” অর্থাৎ চলতি নির্বাচনে দলের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী দাবি রাখতেই শোনা গেল অভিষেককে।
2. প্রথম দফায় বাংলার তিন আসনের চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। দেখা যাচ্ছে, বাংলার তিন আসনেই ২০১৯-এর তুলনায় কমেছে ভোটের হার। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় বাংলার ৩ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৮১.৯১ শতাংশ। যা ২০১৯-লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় আড়াই শতাংশ কম। আগে এই তিন কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছিল প্রায় ৮৪ শতাংশ। আলাদা আলাদা করে কেন্দ্রের হিসাব করলেও দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই আগের থেকে ভোটের হার কমেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের আসন কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৭৯.৭৬ শতাংশ। বাংলার তিন আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জলপাইগুড়িতে। ভোটদানের হার ৮৩.৬৬ শতাংশ। সার্বিকভাবে তিন কেন্দ্রেই আগেরবারের থেকে উল্লেখযোগ্য হারে কম ভোট পড়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।