হিন্ডেনবার্গের পর নয়া বিপাকে আদানি। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঘুষের প্রস্তাব, আমেরিকায় জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। মোদিকে টেনে তোপ রাহুলের। সিআইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়লা-বালি পাচারে যোগ। ‘নিচুতলার পুলিশ’কে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। দুর্নীতির তদন্তে গতি বাড়াতে CID-তে রদবদল। দুর্নীতি রুখতে ‘কন্যাশ্রী’ নিয়েও একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। চলতি মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন রোহিত শর্মা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর এবার নয়া বিপাকে আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানি। দেশের হেভিওয়েট শিল্পপতির বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ২২০০ কোটি টাকারও বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আদানি। আদানির পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন তাঁর ভাইপো সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈন-সহ ৭ জন। নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্কের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে আদানি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। তাতে প্রভাবিত হয়ে আদানিদের সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারীরা। অঙ্কটা প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই মিথ্যাচারের জোরেই সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার লগ্নি পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। জানা যাচ্ছে, গৌতম ও সাগর দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
এদিকে আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই শিল্পপতির গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা। মার্কিন ও ভারতীয়- দুই আইন ভেঙেও আদানি নিরাপদে রয়েছেন কীভাবে, প্রশ্ন রাহুলের। আদানির সঙ্গে ফের মোদি এবং বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ বিরোধী দলনেতার।
2. সিআইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়লা-বালি পাচারে যোগ ‘নিচুতলার পুলিশ’-এর। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকর্মীদের একাংশকে সরাসরি নিশানা করলেও, কার্যত ক্লিনচিট দিলেন পুলিশের উপরতলার কর্তাদের। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র খোলনলচে বদলে দেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক কালে কয়লা-বালি পাচারের ঘটনায় প্রায়ই তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার তৃণমূল নেতাদের মদতেই সক্রিয় পাচারকারীরা। শাসকদল বার বার সেসব অভিযোগ খারিজ করে পালটা যুক্তি দিয়েছে, কয়লাখনির নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের নয়, তা কেন্দ্রের সিআইএসএফের। এদিন ফের সিআইএসএফ-কে দুষে পুলিশকর্মীদের একাংশকে এই ইস্যুতে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের যাতায়াত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এদিন সীমানা এলাকার নাকা চেকিং বাড়ানোরও নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।