মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা-ই। ২৭ জুন জমা দেবেন মনোনয়ন। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মমতাই। বিল পাশ বিধানসভায়। বিলে রাজ্যপালের সই নিয়ে জারি অচলাবস্থা। আশ্বাস খতিয়ে দেখার। গুরুতর অসুস্থ কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হাসপাতালে। করা হয়েছে কোভিডের পরীক্ষাও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বিজেপির ক্যাডার তৈরির জন্যই অগ্নিপথ প্রকল্প’, বিধানসভায় তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবেই শেষমেশ সায় বিরোধী শিবিরের। রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধীদের প্রার্থী হলেন যশবন্ত সিনহা। ‘বৃহত্তর বিরোধী স্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে’ মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি। আর এদিনই দিল্লিতে ১৮টি বিরোধী দলের বৈঠকে তাঁর নামে সিলমোহর পড়ল রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে।
যশবন্তকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পরই টুইটে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, “আমি বিরোধী শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হওয়ার জন্য যশবন্ত সিনহাকে শুভেচ্ছা জানাই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সমস্ত গঠনমূলক বিরোধী দলই তাঁকে সমর্থন করবে। উনি সম্মাননীয় এবং বুদ্ধিমান মানুষ। ওঁর হাতেই আমাদের মহান দেশের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকবে।” বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, বিজেপি সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি, তাই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে নাম ঘোষণার পর সরকারপক্ষেরও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন জয়রাম রমেশ। আগামী ২৭ জুন মনোনয়ন জমা দেবেন যশবন্ত সিনহা।
2. রাজ্যপাল নন, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী-ই। এই মর্মে মঙ্গলবার পাশ হল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২২। এদিকে বিল পাশের প্রতিবাদে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হলেন বিরোধীরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যপালও। জানালেন, “আমি খুব মন দিয়ে বিলগুলো দেখব। পক্ষপাতিত্ব করব না। গ্রহণযোগ্য হলে গ্রহণ করব। নাহলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব।” হিংসা সমস্যা, নিয়োগ দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধে রাজ্যপাল বলেন, নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথমে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু ভোটাভুটির দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। গণকযন্ত্রের গণনায় গোলমাল হলে ফের চিরকুটে ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিলের পক্ষে ১৩৪টি, বিপক্ষে ৫১টি ভোট পড়ে। ভোটদানে বিরত ছিলেন আইএসএফ-এর নওসাদ সিদ্দিকি। এদিকে নিয়ম মেনে রাজ্যপালের কাছে বিল পাঠানো হলেও তিনি যে সেখানে স্বাক্ষর করবেন না, তা আগেই জানিয়েছেন। যেহেতু শিক্ষা সংবিধানের যুগ্মতালিকায় রয়েছে, তাই বিলটি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। সুতরাং বিধানসভায় বিল পাশ হলেও এখনই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।