আনিস হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ৩ সদস্যের সিট গঠন। ভাষা শহিদ বরকতের স্মৃতিতে মুর্শিদাবাদে তৈরি হবে সৌধ। দেউচা-পাচামি নিয়ে বাড়ল পুনর্বাসন প্যাকেজের অঙ্ক। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য। কর্ণাটকের হিজাব-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশুখাদ্য মামলায় ফের জেল লালুপ্রসাদের।আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ভারত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আনিস হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রনেতা হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে হস্তক্ষেপ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মেনে ৩ সদস্যের সিট গঠনের ঘোষণা করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। মুখ্যসচিব, ডিজির পাশাপাশি ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে সিআইডিও। শুরু হয়েছে তদন্ত। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
নিহত ছাত্রনেতার বাবাকে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠালেও যাননি তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আনিসের সঙ্গে তৃণমূলের সখ্যতার কথাও তুলে ধরেন মমতা। বলেন, “অনেকে এখন অনেক কথা বলছেন। কিন্তু ওঁরা জানেন না, আনিস আমাদের লোক ছিল। আমার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। নির্বাচনে আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল। আমাদের ফেভারিট লোক ছিল। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে। কেউ ছাড় পাবেন না।”
এদিকে, সোমবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউই। ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত। রহস্যমৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে উচ্চ আদালত। জরুরি শুনানির আরজিও গৃহীত হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
অন্যদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হল শহর। পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন পড়ুয়ারা। মধ্য কলকাতার এন্টালিতে ছাত্র পরিষদের সদস্যদের পুলিশ বাধা দিলে ধুন্ধুমার লেগে যায়। বড় হোর্ডিং, ব্যানার হাতে পথে নামেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের পড়ুয়ারা। আনিস হত্যাকাণ্ডে রবি ও সোম – দু’দিন ব্যাপী রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এদিন ধর্মতলা থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন বামপন্থী পড়ুয়ারা। আনিস খুনের সুবিচার চেয়ে আলাদা মিছিলে শামিল হন বিশিষ্টরাও।
2. মাতৃভাষায় অধিকারের দাবিতে পাক শাসকদের গুলির সামনে লুটিয়ে পড়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকতেরা। ২১ ফেব্রুয়ারি সেই রক্তে ভেজা দিনটিকেই স্মরণ করা হয়। দুই বাংলাই শুধু নয়, ভাষা আন্দোলনের এমন রক্তস্নাত দিনটিকে মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। ফলে সর্বত্রই এই দিনটি উদযাপিত হয়। তবে সেই সব ভাষা শহিদদের কথা আমরা কতটুকুই বা জানি। আন্তর্জাতিক দিবসে এবার তেমনই এক ভাষা শহিদের স্মৃতিতে সৌধ তৈরির উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষা শহিদ বরকতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সালারে। এবার তাঁর স্মরণে সেখানে বরকতের একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বসানো হবে একটি মূর্তিও। সোমবার দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই দিনটিতে প্রতি বছরই দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।
সোমবার সকালেই টুইট করে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদের কুর্নিশ জানাই। দেশের সমস্ত ভাষাকেই আমরা ভালবাসি। প্রতিটি ভাষাকেই উদযাপন করা দরকার। মাতৃভাষা আমাদের সকলের প্রিয়।”
এপার বাংলার মতো এবারও বাংলাদেশে পালিত হয়েছে মাতৃভাষা দিবস। তবে কোভিডবিধি মেনেই হয়েছে এবারের অনুষ্ঠান।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।