‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’। মমতা ও অভিষেকের ছবি দিয়ে শহরে নতুন পোস্টার তৃণমূলের। পোস্টার দলের তরফে নয়, জানালেন কুণাল। এবার সিবিআই হানা অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে। অভিযুক্তের সম্পত্তি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পরই বেপাত্তা বিদ্যুৎবরণ। সিবিআই-এর সঙ্গে সেটিং করেছে তৃণমূল। ফের বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের। অভিযোগে সম্মানহানি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার, পালটা তোপ তৃণমূলের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘দলে আছি, দলেই থাকব’, তৃণমূল নেতৃত্বকে বার্তা পার্থের
বিস্তারিত খবর:
1. তৃণমূলের নামে নতুন পোস্টার পড়ল শহর কলকাতায়। যাতে একসঙ্গে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সঙ্গে লেখা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে, থাকবে।
দিনকয়েক আগেই দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার পড়েছিল। তাতে লেখা ছিল, “আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল।” এই বক্তব্যের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলে নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে আসছে বলেও দাবি উঠেছিল। কিন্তু এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফের নতুন করে পোস্টার পড়ায় পুরনো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যদিও এই পোস্টারের বার্তা নবীন ও প্রবীণকে একসঙ্গে নিয়ে চলারই। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, “এই পোস্টারও দলের তরফে দেওয়া হয়নি। এটি দিয়েছে সিটিজেনস ফোরাম। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করে। কিন্তু এটা ভাল কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল ছিল, আছে এবং থাকবে।” পাশাপাশি এদিন হুগলীতেও নতুন তৃণমূলের বার্তা দিয়ে বেশ কিছু পোস্টার চোখে পড়ে, যা নিয়েও দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
2. বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেও এবার হানা দিল সিবিআই। অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যার ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাল চারজনের প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর থেকেই বেপাত্তা ওই ব্যক্তি। এদিকে সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির পর যে কোম্পানিগুলির হদিশ মিলেছে, তাতে প্রথম ডিরেক্টরের নাম ছিল সুকন্যা মণ্ডলের এবং দ্বিতীয় নাম বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুকন্যার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। একসময়ের ট্রাকের খালাসি এবং বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বিদ্যুৎবরণ ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই স্থায়ী চাকরি পান। সামান্য পুরসভার চাকরি করে কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, কীভাবেই বা পেলেন একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টরের পদ, উঠছে প্রশ্ন। আর সেই কারণেই এবার তাঁর বাড়িতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।