‘শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব’, পরিষদীয় বৈঠকে সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ঢেলে সাজানো হবে ছাত্রযুব সংগঠনও। শৃঙ্খলা না মানলেই ব্যবস্থা, কড়া বার্তা মমতার। ‘শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হোক’, বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে প্রস্তাব মমতার। চাইলেন রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও। পেট্রাপোলে সন্ন্যাসী-বিক্ষোভে শামিল শুভেন্দু। বাংলাকে না দিয়ে ভিনরাজ্যে আলু-পিঁয়াজ রপ্তানি নয়। বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মমতার। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট, ধর্মঘটের পথেই ব্যবসায়ীরা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
1 ডিসেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ডাক আলু ব্যবসায়ীদের, আশঙ্কা দাম বাড়ার
বিস্তারিত খবর:
1. যে যাই বলুক, দলের রাশ শেষ পর্যন্ত তাঁরই হাতে, সাফ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর দলীয় শৃঙ্খলা না মানলেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। বিধানসভায় পরিষদীয় বৈঠক ডেকে ফের মনে করিয়ে দিলেন নেত্রী। জানালেন, “কে কী বলছে ভাবার দরকার নেই। এখনও আমি আছি। শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব।”
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলে তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটি পরিষদীয় কমিটি। বিধানসভার বৈঠকে সেই পরিষদীয় কমিটিকে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মমতা। অন্যের এলাকায় নাক গলানো নিয়ে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে রীতিমতো কড়া ধমক দেন তিনি। অধিবেশনে হাজিরা নিয়ে এদিন বিধায়কদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, পর পর ৩ দিন বিধানসভায় সময়মতো না এলে চতুর্থ দিনে সেই বিধায়ককে শোকজ করা হবে। তাঁর আরও নির্দেশ, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হবে বিধায়কদের নিয়ে। বিধায়কদের কারও কিছু বলার থাকলে সেখানেই জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র-যুব সংগঠনকে যত দ্রুত সম্ভব ঢেলে সাজানোর কথাও জানিয়েছেন মমতা। ছাব্বিশের বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই, জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. ‘শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হোক’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিধানসভা অধিবেশন থেকে কেন্দ্রকে প্রস্তাব মমতার। চাইলেন রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিবৃতি দিন, দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে দিতে চাইলে আমরা তাদের এখানে ব্যবস্থা করে দেব। আমি খেতে পেলে তারাও পাবে।” সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চললেও সংসদে প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ ইস্যুতে কোনও বিবৃতি দেননি। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব আবেদন আকারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে পাঠাবেন বিধানসভার স্পিকার।
এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ সন্ন্যাসীদের। আর সেই কর্মসূচিতে শামিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জমায়েত থেকেই ওপারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে হুঁশিয়ারিও দিলেন বিজেপি নেতা। সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করলেই বাংলাদেশের হুঁশ ফিরবে, সাফ বার্তা শুভেন্দুর। এদিকে এদিন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ‘পরিকল্পিত’ নির্যাতনের তীব্র বিরোধিতা করে বিবৃতি দিল ইস্টবেঙ্গল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।