কংগ্রেসের দলনেতা হোন রাহুল, দাবি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। পুতিনকে ফের আলোচনায় ডাক জেলেনেস্কির। ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল হামলা রুশ সেনার। কূটনৈতিক সফরে ভারতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। যোগীর শপথগ্রহণে উত্তরপ্রদেশে ‘মেগা ইভেন্ট’। পেট্রাপোলের কাছে চিনা ড্রোন। এশিয়া কাপের ঘোষণা এসিসি-র।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দোলের দিনে শুটআউট কলকাতায়, রিজেন্ট পার্কে মৃত্যু যুবকের
বিস্তারিত খবর:
1. বিক্ষোভের আঁচ এখনও কমেনি কংগ্রেসের অন্দরের। এক্ষেত্রে একমাত্র অন্তরায় স্বয়ং রাহুল গান্ধী। রাহুল নিজে জি-২৩ বা বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে নন। বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবিদাওয়া শুনতেও রাজি তিনি। কিন্তু সমস্যা হল G-23 গ্রুপের নেতারাই কংগ্রেসের শীর্ষনেতা হিসাবে আর রাহুলকে দেখতে চান না। বরং, তারা চান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সংসদে কংগ্রেসের দলনেতা হোন। এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে করা হোক। অন্তত এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবিরের যে মেজাজ ছিল, তা এখন খানিকটা হলেও প্রশমিত। গুলাম নবি আজাদ এবং সোনিয়া গান্ধীর মুখোমুখি বৈঠকে সমস্যা অনেকটা মেটার ইঙ্গিত মিলেছে। সরাসরি বিদ্রোহে না গিয়ে দু’পক্ষই সুর নরমে রাজি। কিন্তু সমস্যা হল জি-২৩ অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ নেতাদের একটা বড় অংশ চাইছে রাহুল গান্ধী যেভাবে সভাপতি পদে না থেকেও যেভাবে কংগ্রেসের সব সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করছেন, সেটা বন্ধ হোক।
অন্তত জনা চারেক শীর্ষস্থানীয় G-23 নেতা নাকি রাহুলকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দলের সংসদীয় কমিটির নেতা করার পক্ষে। তাতে দল গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতিও করতে পারবে আবার রাহুলের দেখানো পথে সংসদে আন্দোলনও করা যাবে। এক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ নেতারা শচীন পাইলটের মতো কোনও গ্রহণযোগ্য মুখকে কংগ্রেস সভাপতি করার পক্ষে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও নাকি কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আলোচনার সময় এই ধরনের প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনওপক্ষই মুখ খোলেনি।
2. ২৪ দিনে পা দিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ থামার নাম নেই। বরং হামলার ঝাঁজ আরও বাড়াচ্ছে মস্কো। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছে আলোচনার টেবিলে বসার আরজি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি তাঁর হুমকি, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র না বেরোলে কয়েক প্রজন্মেও ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না রাশিয়া।
ইতিমধ্যে বার চারেক আলোচনায় বসেছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। তবে রফাসূত্র মেলেনি এখনও। এমন আবহে শুক্রবার ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল হামলা চালাল পুতিনের দেশ। যা যুদ্ধের আবহে এই প্রথমবার। ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স হামলার খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইভানো-ফ্রানকিভিস্ক এলাকায় মাটির তলায় বিপুল অস্ত্রসম্ভার ছিল ইউক্রেনের। পালটা হামলা চালাতে প্রচুর মিসাইল জড়ো করা হয়েছিল সেখানে। এবার সেই অস্ত্রসম্ভারেই সরাসরি হামলা চালাল রাশিয়া। ছোঁড়া হয় হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল ‘কিনঝল’। ইউক্রেনে এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে রাশিয়া। ইতিপূর্বে কোনও সামরিক অভিযান বা যুদ্ধে রাশিয়ার এই অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহারের কথা শোনা যায়নি।
সম্প্রতি রাশিয়াকে মদত দেওয়ার অভিযোগে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এ বার তারই পাল্টা দিল চিন। এই যুদ্ধের জন্য আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোটকেই পরোক্ষেই দায়ী করছে জিনপিং প্রশাসন। শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে যুদ্ধের আবহে তৈরি হওয়া নতুন সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এরপর সেই ভিডিও কল নিয়ে দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে চিনের বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতির অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়েই রয়েছে তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা হস্তক্ষেপে চিনের বিক্ষোভ। এরই পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো যেভাবে কেবলই রাশিয়াকে দায়ী করছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।