আগে বালতি উলটে দেখাক, সরকার ফেলার হুঁশিয়ারির পালটা মুখ্যমন্ত্রীর। ভোটহিংসায় আহতদের খোঁজ নিতে SSKM-এ মমতা। আর্থিক সাহায্য কর্মীদের। ভয়াবহ বিস্ফোরণ উত্তরাখণ্ডে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। মৃত অন্তত ১৫। পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতির। ফের তারিখের রাজনীতি শুভেন্দুর। মহামিছিল থেকে হুঁশিয়ারি ১২০ কোটির দুর্নীতি ফাঁসের। সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্তি তিস্তা শীতলবাদের। মোদির বিরুদ্ধে প্রমাণ জালিয়াতি মামলায় জামিন সমাজকর্মীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিজেপিকে টক্কর দিতে তৈরি বিরোধী জোট INDIA, ‘নেতৃত্বে’ মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. ভোটহিংসায় জখম দলীয় কর্মীদের খোঁজ নিতে বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্যের চেক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠক করেই মমতা জানিয়েছিলেন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে হিংসায় কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা। সেই মতো এদিন জখমদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার ফেলার হুঁশিয়ারি থেকে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কলকাতার রাজপথে মিছিল, একাধিক ইস্যুতে এদিন বঙ্গবিজেপিকে কড়া তোপ দাগলেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “হিংসা, হিংসা করে চিৎকার করছে। অথচ বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে ভোটে জিততে না পেরে অত্যাচার করছে। স্ত্রী, সন্তান-সহ পুড়িয়ে দিয়েছে।” বিজেপির এদিনের মিছিল নিয়েও তাঁর কটাক্ষ, “মিছিল ছাড়া আর কী করবে? বিজেপির একটাই কাজ হিংসা করো। বিভেদ ছড়াও। মানুষের রক্ত নাও।” এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবির পরেও ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুররা। এই ইস্যুতে এবার বঙ্গবিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বৃষ্টিবিঘ্নিত উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে। ভয়ংকর ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে প্রাণ গেল অন্তত ১৫ জনের। আহত বহু। হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে আহতদের।
চামোলিতে অলকানন্দা নদীর ধারে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কাজ চলছিল। বুধবার সেখানেই একটি ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের কারণে অলকানন্দা নদীর উপর সেতুর একটি রেলিং বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসেছিল। সেই সেতুতেই ছিলেন অনেকে। বিদ্যুৎবাহী রেলিংয়ের সংস্পর্শে এসে তাঁরাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং পাঁচজন হোম গার্ড। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতেরা চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য পাবেন। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।