নির্বিঘ্নে মিটল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। বাংলায় ভোটদানের হার ৭৫ শতাংশেরও বেশি। বাংলায় ভোটে সবথেকে বেশি অভিযোগ কোচবিহারে। বিক্ষিপ্ত অশান্তি মিটল কমিশনের তৎপরতায়। পিস রুমে বসে পরিস্থিতিতে নজরদারি রাজ্যপালের। ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে তৃণমূলই, ফের বোঝালেন মমতা। মে মাসের শুরুতেই ফলপ্রকাশ মাধ্যমিকের। ফল জানাতে প্রস্তুত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সোমবার থেকেই স্কুলে গরমের ছুটি শুরু, ৮ জেলায় লু-এর সতর্কতা
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভার প্রথম দফার নির্বাচন মিটল শান্তিপূর্ণ ভাবেই। ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ১০২ আসনে হল ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে গড়ে ৭৭.৫৭ শতাংশ। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভোটদানের হার যথাক্রমে ৭৫.৫৪ শতাংশ ও ৭৭.৭৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৮০.৮০ শতাংশ। ভোটদানের হারে শীর্ষে আছে ত্রিপুরা। এদিকে ভোটের দিনেও অশান্ত মণিপুর। অন্যদিকে নির্বাচনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে পূর্ব ইম্ফলের ২টি এবং পশ্চিম ইম্ফলের ৩টি বুথ তছনছ করে দুষ্কৃতীরা। ত্রিপুরাতেও ভোট চুরির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের ২০টি বুথে ভোটদানের হার প্রায় শূন্য। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ সত্ত্বেও, প্রথম দফায় ৫৮১৪ বুথে ভোটগ্রহণের পর কমিশন জানাল, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ।
2. তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে দেশের নিরিখে রেকর্ড ভোট পড়ল বাংলার ৩ কেন্দ্রে। তবে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। শীতলকুচির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। অশান্তির অভিযোগের রিপোর্টও প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। আলিপুরদুয়ারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ১৬২ টি। কোচবিহারে ২৬৯ টি এবং জলপাইগুড়িতে ১২৫ টি। তবে ৩ কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে কোচবিহার জেলায়। নির্বাচনের আগে থেকেই দফায় দফায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছিল এই কেন্দ্রে। ভোটের দিনেও এই কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর প্রকাশ্যে আসে। মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নির্বাচনে। প্রত্যেকেই কোচবিহারের। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিলে ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। প্রথম দফার নির্বাচনে উত্তরের ৩ কেন্দ্রে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তের সুফল দেখল বাংলা।
এদিন পিসরুম থেকে দিনভর ভোটের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন রাজ্যপাল। যদিও “ভোট চলাকালীন পিসরুমের নামে তৃণমূল বিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন রাজ্যপাল”, এই মর্মে রাজ্যপালকে তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।