ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার ‘মূল চক্রী’। দাদার খুনের বদলা নিতেই পালটা হত্যা ধৃতের, জানাচ্ছে পুলিশ। পালটা হলফনামা দিতে দেরি কেন? অভিষেককন্যাকে হুমকি মামলায় সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য। উত্তরোত্তর হিংসা বাড়ছে মণিপুরে। বিজেপি ও কংগ্রেসের অফিসে আগুন উন্মত্ত জনতার। বদলের বাংলাদেশে বদলার রাজনীতি। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ, হাসিনা আমলের একাধিক মন্ত্রী-সহ ১৩ জনকে পাঠানো হল জেলে।প্রয়াত ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা, উমা দাশগুপ্ত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা খুন এবং বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মূল চক্রী হিসাবে চিহ্নিত সুজল প্রসাদ। খুনের পর পাশের জগদ্দল এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। ধৃতদের জেরা করে সুজলের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। তাকে গ্রেপ্তার করায় এই কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।
নৈহাটিতে উপনির্বাচনের দিন পাশের কেন্দ্র ভাটপাড়ায় সাতসকালে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। চায়ের দোকানে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। চলে বোমাবাজিও। মৃত্যু হয় অশোক সাউ-এর। বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ধৃত সুজল প্রসাদ ২০২০ সালে ভাটপাড়ার একই জায়গায় নিহত আকাশ প্রসাদের ভাই। দাদার খুনের বদলা নিতেই সুজল তৎকালীন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। আগেও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল সুজলের বিরুদ্ধে। জামিনে মুক্ত থাকার মধ্যেই এবার এই হত্যাকাণ্ডে জড়াল সুজল প্রসাদ।
2. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাকে হুমকি মামলায় পালটা হলফনামা দিতে দেরি কেন? প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার এই মামলার শুনানিতে আইনজীবীরা পালটা হলফনামা দেওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চান। তাতে আপত্তি জানিয়ে সাতদিন সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এদিন রাজ্যের তরফে সাত আইপিএসের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এক মিছিল থেকে অভিষেকের নাবালিকা কন্যার প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই মহিলা আবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন, গ্রেপ্তারিতে পুলিশি অতিসক্রিয়তা এবং হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে। প্রথমে সিঙ্গল ও পরে ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে, ঘটনার তদন্তের জন্য সাত আইপিএস অফিসারের তালিকা দিতে বলা হয়। যাঁদের বাসস্থান বাংলার বাইরে, এবং এঁদের মধ্যে অন্তত ৫জন মহিলা। সেই নির্দেশ মেনে এবার আইপিএসের তালিকা দিল রাজ্য। ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।