নিয়োগ দুর্নীতিতে নোবেলজয়ীদের কী মত? এবার প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অন্যের সুপারশিপত্রে বাবার স্কুলেই ছেলের চাকরি করার অভিযোগ। ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ ও বেতন বন্ধের নির্দেশ আদালতের।’বিজেপির প্রক্সি সরকার নয়, তৃণমূলই বিকল্প’- মেঘালয়ে নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন মমতা। প্রয়াত একেনবাবুর স্রষ্টা সাহিত্যক সুজন দাশগুপ্ত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার সঙ্গে আপস নয়, কলেজিয়াম বিতর্কে সরব মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবছেন? এবার এজলাস থেকেই এ প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন, ‘আমার জানার কৌতূহল, স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতিতে এই সব মহান স্বীকৃত শিক্ষাবিদ মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি কী? ওঁরা তো আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেন। তাই এটা নিয়েও কিছু বলেন কিনা, সেটা জানতে চাইছিলাম।’ জবাবে বিকাশবাবু বলেন, “আমার মনে হয় অমর্ত্য সেনের বলা বিষয়ে পুরো লেখাটা পড়লে বোঝা যাবে, যে ভাবে দেখানো হচ্ছে, তিনি সেই ভাবে বলেননি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অমর্ত্য সেনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই যে বিচারপতির এ প্রশ্ন, বিকাশবাবুর জবাবে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছিলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো সবরকম যোগ্যতা আছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর আলোচনা চলছে। যদিও শুধু এই মন্তব্য নয়, প্রাসঙ্গিক আরও কথা বলেছিলেন অধ্যাপক সেন, যা না জেনেই তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও প্রায় একই ভাবে সমালোচনার সুরে প্রশ্ন তুললেন। এদিকে ওই একই মন্তব্যের দরুন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে একহাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “তাঁর গোপন কোনও অ্যাজেন্ডা রয়েছে। তাই একথা বলছেন। এটা পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য। এই কথার সঙ্গে অর্থনীতি বা শিক্ষার কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। পরামর্শ দিতে হলে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার বা ইউক্রেনের জেলেনস্কিকে দিন।” যা নিয়ে পালটা কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় অমর্ত্য সেনকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করতে পারে সাকেতের মতো। অথবা অমিত শাহকে বলতে পারেন অর্মত্য সেনের বাড়িতে সিবিআই, ইডি পাঠাতে হবে। সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ দিয়ে গ্রেপ্তার করাতে পারে।” অমর্ত্য সেনের মন্তব্য নিয়ে যে রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়েছে, এদিন তাই-ই বজায় থাকল পুরোমাত্রায়।
2. অন্য শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল করে, বাবার স্কুলেই চাকরি করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির ১ নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষকের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তিনি ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। বাবার স্কুলেই ছেলের চাকরি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, অন্যের সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি করতেন অনিমেষ। নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর এক রেখে অনিমেষ নিজের নাম নিয়োগপত্রে বদলে নেন বলেই অভিযোগ। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি তথ্যপ্রমাণ দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” এরপর ডিআইজি সিআইডিকে এজলাসে তলব করেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ওই ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ এবং বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।