এশিয়া কাপ ভারতেরই। সিরাজকীয় মেজাজে ৫০ রানেই মাঠ ছাড়ল শ্রীলঙ্কা। ঈশান-শুভমানের দাপটে ৬.১ ওভারেই খেলা শেষ। অষ্টমবার এশিয়া সেরা টিম ইন্ডিয়া। ৭৩-এ পা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। জন্মদিনে শুভেচ্ছার বন্যা, বিরোধ ভুলে মোদিকে অভিনন্দন বিরোধীদেরও। এবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম লা লিগাকে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অসহযোগিতার অভিযোগ। সংসদীয় কমিটিতে ফের ব্রাত্য তৃণমূল। কবিগুরুর আশ্রমকে এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিল UNESCO।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. এশিয়াকাপে নাটকীয় জয় ভারতের। রবিবার মহম্মদ সিরাজের দাপুটে বলে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কাবাহিনী। মাত্র ৬.১ ওভারে সেই রান তুলে নেন ঈশান-শুভমান। এই নিয়ে অষ্টমবারের জন্য এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে ম্যাচ শুরুর আগেই সামান্য বৃষ্টি হয়। তারপরই স্যাঁতসেতে আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে দাপট দেখাতে শুরু করেন ভারতীয় পেসাররা। প্রথমেই লঙ্কা ব্যাটিংকে ধাক্কা দেন জশপ্রীত বুমরাহ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তাঁর শিকার হন ওপেনার কুশল পেরেরা। তারপরেই চতুর্থ ওভারে সিরাজ ধামাকা। এক ওভারে পরপর তুলে নেন নিশঙ্কা, সমরবিক্রমা, আসালঙ্কা ও দি সিলভার উইকেট। ওই এক ওভারেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস খানিকটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও কোনও কাজে আসতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সহজ টার্গেট চেজ করতে মাঠে নামেন ঈশান কিষান ও শুভমন গিল। খেল খতম মাত্র ৬.১ বলেই। ঈশান ১৮ বলে ২৩ ও শুভমান ১৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত রইলেন। আর ১০ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আবারও এশিয়ার সেরা হল ভারত।
2. ৭৩-এ পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে বহু সম্মাননীয় ও রাজনৈতিক নেতারা। বিজেপির দলীয় কর্মী ও নেতারা এদিন মহা সমারোহে মোদির জন্মদিন পালন করেছেন। শুধু বিজেপি নয়, রাজনৈতিক মতবিরোধ ভুলে সৌজন্য দেখালেন বিরোধীরাও। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা এসেছে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্য নেতাদের তরফেও। একইসঙ্গে নিজের ৭৩তম জন্মদিনে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার নয়াদিল্লির দ্বারকায় এক্সপো সেন্টার ‘যশোভূমি’ উদ্বোধন করেন মোদি। পাশাপাশি বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে সূচনা করলেন ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পের। এদিন প্রকল্প উদ্বোধন করে মোদি নিজেকে “গরিবের ছেলে” বলে পরিচয় দেন। তাঁর কথায়, “মোদি আপনাদের সেবায় সদা তৎপর।” জানা গিয়েছে, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৭-২৮ আর্থিক বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের অধীন সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টুলকিট প্রদান করা হবে। সুবিধাভোগীদের ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ডে মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়া হবে শিল্পী ও কারিগরদের। পাশাপাশি তৈরি করা পণ্যের জন্য গুণমান শংসাপত্র, ব্র্যান্ডিং এবং বিজ্ঞাপনের জন্য বিপনন সহায়তা করা হবে। মোট ১৮ ধরনের শিল্পী ও কারিগররা পিএম বিশ্বকর্মার সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।