ভারতে ফিরল চিতা। জন্মদিনে কুনো অভয়ারণ্যে ৮ চিতা ছাড়লেন মোদি। ‘কোহিনূর ফিরিয়ে দেখান’, কটাক্ষ তৃণমূলের। নতুন নিয়োগে জটিলতার আশঙ্কা। আপাতত স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া। খবর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে। ভাষা বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ। নিয়োগ করতে হবে স্থানীয় ভাষা বলতে পারা কর্মী। ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ নির্মলা সীতারমণের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ভারতে ফিরল চিতা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, জন্মদিনেই মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে ৮টি চিতা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিতার মতো বন্যপ্রাণীকে ভারতে ফেরানোর জন্য নামিবিয়াকে ‘বন্ধু দেশ’ বলে উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন কংগ্রেসকে কার্যত খোঁচা দিয়ে মোদি বলেন, “দুর্ভাগ্য এই যে তাদের পুনর্বাসনের জন্য কেউ কোনও চেষ্টা করেনি। এবছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে চিতাদের ফিরিয়ে নতুন শক্তি প্রদর্শন করল ভারত।”
এদিকে বন্যপ্রাণ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে একযোগে মোদিকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। ২০১০ সালেই তিনি নিজে দেশে চিতা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ। এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘দেশের যে আসল সমস্যা, মূল্য বৃদ্ধির সমস্যা, সেসব নিয়ে আলোচনা করছে না বিজেপি। নজর ঘোরাতে এসব করা হচ্ছে। এর বদলে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাতে পারতেন। যদি আজ চিতার জায়গায় সকলের সামনে কোহিনুর ফিরিয়ে আনতেন, তাহলে বুঝতাম ৫৬ ইঞ্চি।’ বস্তুত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনূর ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হচ্ছে নেটমাধ্যমে। কেন্দ্র অবশ্য এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার বিজেপিকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র।
2. একই সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং বদলি প্রক্রিয়া চললে শূন্যপদ নির্ধারণে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, আদালত নির্দেশিত ১৮৭ জনের নিয়োগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। কারণ ওই প্রার্থীদের যে শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ করার কথা, বদলি প্রক্রিয়া চালু থাকলে সেই শূন্যপদগুলিতে রদবদল হয়ে যাবে বা পূরণ হয়ে যাবে। এছাড়া, শীঘ্রই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রেও শূন্যপদ নির্ণয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে বদলি। সব মিলিয়ে আপাতত থমকে গেল উৎসশ্রী পোর্টালের মারফত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।