মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জেরে বিপাকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ করে হুঁশিয়ারি কমিশনের। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেনজির পদক্ষেপ। চার্জশিটে আপের নাম জুড়ে আদালতে পেশ ইডির। দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথমবার জড়াল গোটা দলের নাম। জামিনে মুক্ত সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের। আপাতত কড়া পদক্ষেপ নয় গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধেও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- নন্দীগ্রামে ‘প্রতারণা’র বদলা নেবই, শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে হুংকার মমতার
আরও শুনুন: 15 মে 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- জোটকে বাইরে থেকে সমর্থনের ঘোষণা মমতার, বাংলার টার্গেট ২৪-এ নামালেন শাহ
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন আক্রমণের জেরে এবার বিপাকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু করার আবেদনও জানানো হয়। এরপরই অভিজিৎকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর, শালীনতার সীমালঙ্ঘনকারী এবং কুরুচিকর। এই ধরনের মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনেরই সামিল। ২০ মে অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
2. দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেনজির পদক্ষেপ। এবার আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত হিসাবে আম আদমি পার্টি-র নাম চার্জশিটে রাখল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সরাসরি দুর্নীতির মামলায় গোটা রাজনৈতিক দলকেই কাঠগড়ায় তুলে দেওয়ার এহেন ঘটনা এদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় ইডি। সেখানে নাম রয়েছে আপ এবং দলের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। এর আগে আবগারি দুর্নীতির মামলায় কেজরির সঙ্গে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেককেই জড়িয়েছে ইডি। এ বার আবগারি দুর্নীতির টাকা দলের কাজে খরচ করার অভিযোগ এনে সেই বৃত্তে আপকেও নিয়ে এল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির মামলা দীর্ঘকাল চললে ক্ষতি হবে কেজরির দলেরই। কারণ, ‘তদন্তের স্বার্থে’ দলীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা বা নেতা-কর্মীদের সমন পাঠানো চলবেই। তাছাড়া, কেজরির দলের স্বীকৃতি কেড়ে নিতে নির্বাচন কমিশনের দরবারে জোর গলায় ধরনা দেবে বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।