এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৫। পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বিএসএফকে বিঁধলেও আপত্তি নেই এনআইএ তদন্তে। ৩৬ হাজার নয়, প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ হাজারে। ডিভিশন বেঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পর্ষদ।ববিতার হাত ঘুরে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরি পেলেন অনামিকা। ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি রাজ্যে। নিরাপত্তা বাড়ল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘অভিষেকের গ্রেপ্তারি সময়ের অপেক্ষা’, বিস্ফোরক সুকান্ত, পালটা তৃণমূলের
আরও শুনুন: 15 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রাথমিকের চাকরিহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ডিএ আন্দোলনকে নিশানা মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত অন্তত ৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭ জন। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ইস্যুতে দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা ও অতি সংকটজনকদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, দোষীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এই ঘটনা ঘটায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বাজি কারখানার আড়ালেই বোমা বাঁধার কাজ চলছিল কি না। স্থানীয় থানার আইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার ইঙ্গিতও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এই ঘটনায় একযোগে NIA তদন্তের দাবি করেছে বিরোধীরা। এই দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতার অভিযোগ, ওই বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাদেশেও বাজি পাচার করত। এর আগেও অবৈধ বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মিলল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনার তদন্তভার নিলেও তাতে বিশেষ আপত্তি করবে না রাজ্য সরকার।
2. কমল প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের সংখ্যা। গত সপ্তাহে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে টাইপোগ্র্যাফিক্যাল ভুল ছিল বলে শোনা গিয়েছিল। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলায় এবার বাতিল চাকরির সংখ্যা ৩৬ হাজার থেকে কমে দাঁড়াল ৩২ হাজারে। আদালতের নির্দেশ সংশোধন করে বিচারপতি বলেন, “এত দুর্নীতি হয়েছে, চাকরি বাতিল না করে উপায় ছিল না।”
এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে পর্ষদও। তবে সেখানেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “চাকরিহারাদের প্রত্যেককেই প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়েছে। যাতে আবার সবাই সুযোগ পায়। পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে সমস্যা কোথায়?” এদিন রায়ে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।