হাসপাতাল-থানায় মোতায়েন নয় সিভিক। আর জি কর শুনানিতে রাজ্যকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের। নিয়োগ-যোগ্যতা নিয়ে তলব হলফনামা। হাই কোর্টের সবুজ সংকেতে ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ জনজোয়ার। পুলিশি বাধা মানববন্ধনে। ধর্মতলায় অনশনে যোগ আরও দুজনের। পুজো মিটতেই নিয়োগ মামলায় সক্রিয় সিবিআই। নির্বাচনের দামামা মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে। একযোগে উপনির্বাচন বাংলার ৬ আসনেও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 13 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সোমবার IMA-সহ চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে বৈঠকে ডাক মুখ্যসচিবের
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে মঙ্গলবার ষষ্ঠ শুনানি শুনল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানেই সিভিক বাহিনী নিয়ে ‘সুপ্রিম’ তোপের মুখে রাজ্য। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, হাসপাতাল-থানা এবং অপরাধস্থলে সিভিক মোতায়েন করা যাবে না। এই নির্দেশ পূরণ করতে কী কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য, তাও জানাতে হবে। আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ থাকলেও কীভাবে নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী করুণা নন্দী। এরপরই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের অভিযোগ, রাজ্যের ত্রুটিপূর্ণ ‘রেফার রোগে’র জন্যই মার খেতে হয় চিকিৎসকদের। তাঁর দাবি, , রাজ্য যে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালু করছে, তাতে নিশ্চিত করতে হবে সেই সব হাসপাতালেই রোগীদের রেফার করা হচ্ছে, যেখানে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকাঠামো আছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রোগীদের সেইসব হাসপাতালেই রেফার করা যাবে, যে হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা আছে বা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো আছে। ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে চলতি অর্থবর্ষে হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তায় সিসিটিভি ও সফটওয়্যারের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র এক টাকা, তা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। তবে রাজ্যের তরফে দাবি, সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলেও আদালতে জানাল রাজ্য। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী। দীপাবলির পর ফের এই মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
2. পুজো কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভালের ডাকে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। তার বিরোধিতায় চিকিৎসকদের সংগঠন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতেই হাই কোর্ট জানায়, কলকাতা পুলিশের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’। আর হাই কোর্টের সবুজ সংকেতের পরই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ জনজোয়ার। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে পথে নেমেছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। এদিকে ধর্মতলা চত্বরে মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে পুজো কার্নিভালের মেডিক্যাল ক্যাম্পে কর্মরত অবস্থায় আটক চিকিৎসক তপোব্রত রায়। অভিযোগ, ডিউটি করার সময় ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ পরেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে আটক করে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, আটক চিকিৎসককে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত এদিনই ছাড়া পেলেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।